খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
পুলিশি বাধায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প- হওয়ারপর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সারা দেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকায় এসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করবে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগপ্রাপ্তদের ভর্তি ২৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন করেছে। এ ক্ষেত্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভর্তি প্রতিহতের ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান বলেন, ভর্তি প্রতিহতের ঘোষণা মুখে মুখে সীমাবদ্ধ। মূলত ড্যাব সমর্থিত মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্রশিবিরের কর্মীরাই আন্দোলন উসকে দিতে এসব বলেছে। তিনি বলেন, দেশের কোথাও ভর্তি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি। নির্বিঘেœ ভর্তি চলছে। গত দু’দিনে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বাকিরা শিগগিরই ভর্তি হবে। বুধবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরেই ছাত্র ফ্রন্টের ব্যানারে একটি মিছিল শাহবাগের দিকে আসতে থাকলে সেখান থেকে আরও ২৫ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদেরও ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার কাউসার আলী জানান, সড়ক অবরোধ করায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে থানায় এনে কথাবার্তা বলে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ছাত্র-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’র অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, আজ বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে জমায়েত হবে সারা দেশের আন্দোলনরত শিক্ষাথীরা। কর্মসূচিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জড়ো হবেন। এখানকার অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ২০ সেপ্টেম্বর ফল ঘোষণা করার পর আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পিএসসির সহকারী পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। একই অভিযোগে গত ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসব অভিযোগে সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আন্দোলন শুরু করে।