Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০১৫
54মহানগরীর মাহিগঞ্জ আলুটারিতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানী নাগরিক হোসি কুনিও’র লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছেন জাপানী নাগরিক। তার বুকে, কাঁধে ও হাতে গুলি বিদ্ধ হয়েছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, হোসি কুনিওকে হত্যার ঘটনায় কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে রবিবার ভোরে অজ্ঞাত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে শনিবার যে পাঁচজনকে আটক করেছিল পুলিশ তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় অবস্থিত জাপানী দূতাবাসের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কিউসাকু কিনজু অপরাধ বিশেষজ্ঞ কাউসাকুয়া ও দোভাষী এমদাদুর রহমান রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনের কার্যালয়ে আসেন। তারা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তারা ময়নাতদন্ত করার প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্তের সময় তাদের দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর দুপুর ১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। এতে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ও জাপানী দূতাবাসের অপরাধ বিশেষজ্ঞসহ দুই কর্মকর্তা ঘণ্টাব্যাপী ময়নাতদন্ত শেষ করেন। এ ব্যাপারে জাপানী দূতাবাসের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। জাপানী নাগরিক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ইসলামের সঙ্গে রংপুর মেডিকেল কলেজে বেশ কয়েকবার সাংবাদিকরা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি। এদিকে, এ ঘটনায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ডিআইজি জানিয়েছেন। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুখ জানান, হত্যার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে সব বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এদিকে, নিহত জাপানী নাগরিকের লাশ এখনো মর্গে রাখা আছে। লাশটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে কখন নিয়ে যাওয়া হবে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।