Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫, রাজাপুর, ঝালকাঠী

সরকারি গাছঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ সহসভাপতি ও বন কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নৈকাঠি-ভান্ডারিয়া সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রজাতির ১০টি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ওই কেটে ফেলা গাছ উদ্ধার করে স্থানীয় বন কমিটির তত্ত্বাবধায়ক তাজুল ফরাজীর জিম্মায় রাখলেও ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে ম্যানেজ করায় তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা বা থানায় কোনো অভিযোগও করেননি। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান তার বাড়ির সামনের রাস্তার দু’পাশের ২টি শিশু, ২টি অর্জন, ২টি ভাবলা, ২টি মেহগনি ও ২টি চাম্পুল গাছ কেটে ফেলে। খবর পেয়ে বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গাছ উদ্ধার করে স্থানীয় বন কেয়ারটেকার তাজুল ফরাজির বাড়িতে নিয়ে জিম্মায় রেখে আসেন। কিন্তু তিনি এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা বা অভিযোগ না করে ম্যানেজ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন কর্মকর্তার যোগসাজসের মাধ্যেমেই বিভিন্ন সময় বন কমিটির লোকজন গাছ বিক্রি করে। কিন্তু বন বিভাগ যদি কঠোর হতো এবং গাছ কাটার বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতো তা হলে সরকারি গাছ বেহাত হতো না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ সহসভাপতি ও বন কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে সবজির ক্ষেত করার জন্য কয়েকটি মরা গাছ ও গাছের ডাল কেটেছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় মহারাজের ছেলে অন্য গাছগুলো কেটে পাশের ডোবায় ঝাউ দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রতিপক্ষরা বিষয়টাকে নিয়ে তাকে হয়রানি করছে। তবে সাংবাদিকদের কাছে গাছ কাটার জন্য তিনি ভুলও স্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা বর্ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, কয়েকটি গাছের ডাল কেটেছে মাত্র, কোনো গাছ কাটেনি। এ বিষয়ে ওসি জানান, এ বিষয়টি বন কর্মকর্তার দেখার বিষয়। তিনি এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।