খোলা বাজার২৪ বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলামকে অবশ্যই আদালতে এসে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৫ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙা সড়কে চাচা শাহজাহান আলীর সঙ্গে হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত হোসেন (সৌরভ)। শাহাদাতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাংসদ মঞ্জুরুল ওই সময় পাজেরো গাড়ি থামিয়ে শাহজাহানকে ডাকেন। শাহজাহান ভয়ে দৌড় দিলে সাংসদ গুলি ছোড়েন। শিশুটির দুই পায়ে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়। বর্তমানে সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শনিবার রাতে শাহাদাতের বাবা সাজু মিয়া সাংসদকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখমের অভিযোগ আনা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, একজন শিশুকে গুলি করার পরও গাইবান্ধার ওই সাংসদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি কেন। সরকারদলীয় সাংসদ হওয়ার কারণেই কি এমনটি ঘটছে? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তিনি সরকারি দলের সাংসদ, নেতা-কর্মী বা যিনিই হন। তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ সাম্প্রতিক সময়ে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে সরকারের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে। আমি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কূটনীতিক ও প্রতিনিধিদের বিষয়টি অবহিত করেছি।’ দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত-শিবির জড়িত এ ধরনের তথ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে সরকার কী মনে করে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে কে জড়িত তা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমি বলতে চাই না। যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটা হচ্ছে কি না, আপনারা কিছুদিন আগে সারা দেশে জ্বালাওপোড়াও অগ্নি সন্ত্রাস দেখেছেন। সেগুলোর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ খিজির খান, ঢাকায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীসহ বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড একইভাবে হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কয়েক বছর ধরে হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ হত্যাকারীদের বের করতে পারেনি। সাংবাদিকেরা এর কারণ জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বসে নেই। তারা এ নিয়ে কাজ করছে।’ এসব ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জেএমবির মতো সংগঠন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা তাদের দমন করছি। আটক করছি। চট্টগ্রামে জেএমবির শাখা প্রধানসহ একটি বড় জঙ্গি দলের বিরুদ্ধে আপনারা অভিযান দেখেছেন। আমরা থেমে নেই। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।