খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৫ : দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য দেশে পর্যটনের একটি সম্ভাবনাময় উৎস হতে পারে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সম্পন্ন নৌ উপত্যকা সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড। সুন্দরবনের দুবলার চরের দক্ষিণাঞ্চলে ৯০০ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এ উপত্যকাটি ডলফিন, তিমি, হাঙ্গর এবং কচ্ছপের প্রধান প্রজনন ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পর্যটন সম্ভাবনার এ উপত্যকাটি বঙ্গোপসাগরের প্রধান মৎস্য এলাকা হিসেবেও পরিচিত। ২০১৪ সালে সরকার উপত্যকাটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। স্থানটি পরিদর্শনে এখনও রয়েছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা। তবে কেউ চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভ্রমণে যেতে পারে এখানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক মুজিব উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা থাকলে সংরক্ষিত অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও এটি পর্যটনের একটি সমৃদ্ধ উৎস হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ভবিষ্যতে দেশের জন্য পর্যটনের একটি সম্ভাবনাময় স্থান হতে পারে। এটা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। এ স্থানটি ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার বোতলনাক ডলফিন, প্যান-ট্রপিক্যাল ডলফিন, স্পিনার ডলফিন, শক্ত দাঁতের ডলফিন এবং তিমি মাছের প্রজননের চন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ সমিতির (ডব্লিওসিএস) অধীনে বাংলাদেশ তিমি বৈচিত্র প্রকল্পের সদস্যরা (বিসিডিপি) গত সাত বছর ধরে এখানে গবেষণা চালিয়ে চার প্রজাতির ডলফিন এবং দুই প্রজাতির তিমির সন্ধান পেয়েছে। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে বিলুপ্তপ্রায় ডলফিনের কিছু প্রজাতি। অনেক পর্যটন কোম্পানিই এখানে প্রতিবছর পর্যটন ট্যুর পরিচালনা করে। তাদের সাথে পর্যটনে আসে অনেক বিদেশিও। ট্যুর পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো জানায়, কোনও সন্দেহ নেই যে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড দেশের পর্যটনের একটি অসাধারণ স্থান হতে পারে।