খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরিকল্পিত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ লোক বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বিরোধীদল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলোর ডাকে শনিবার চুক্তি বিরোধী একটি সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা ড্রাম ও হুইসেল বাঁজিয়ে এবং ‘হ্যাঁ আমরাই পারবো- টিটিআইপিকে থামাতে’ শ্লোগান লেখা ব্যানার উচিয়ে মিছিল করেন।
সমাবেশের বক্তরা পরিকল্পিত চুক্তিটিকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ চুক্তির ফলে শ্রমিকদের জীবনমান ও পরিবেশগত মানের ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা হ্রাস পাবে বলে দাবি করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির বিরোধী আড়াই লাখ লোক সমাবেশে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা। সংখ্যাটি তাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান তারা।
অনেক বছর ধরে জার্মানিতে এতবড় সমাবেশ আর দেখা যায়নি বলে সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় মন্তব্য করেছেন নাগরিক আন্দোলনের পরিচালক ক্রিস্তফ বালৎস।
পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ মিছিলটিতে দেড়লাখ লোক অংশ নিলেও কোনো সমস্যা হয়নি। মিছিলের সময় এক হাজার পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন বলেও জানান তারা।
গত বছর থেকে জার্মানিতে তথাকথিত ‘ট্রান্সআটলান্টিক ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ’ (টিটিআইপি) চুক্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জনমত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পালিগুলোর হাতে প্রভূত ক্ষমতা কুক্ষিগত হবে এবং ভোক্তা ও শ্রমিকদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চুক্তি বিরোধীরা।
“আমি কোনো কোম্পানির একনায়কতন্ত্র চাই না,” বলেন বিক্ষোভকারী অলিভার জ্লচি। ভোক্তা অধিকার আইনের ধারা নমনীয় করারও বিরোধী তিনি।
সমাবেশে বামপšি’ পার্টির পার্লামেন্টারি দলের উপনেতা ডিটমা বারাখস জানান, আলোচনাকে ঘিরে বিরাজমান অস্বচ্ছতায় উদ্বিগ্নবোধ করছেন তিনি।
সমাবেশে তিনি বলেন, “কী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে আমাদের অবশ্যই তা জানা দরকার।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সমাবেশটিতে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে বিস্মিত হয়েছে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সরকার। এতে চুক্তি বাস্তবায়ন কতোটা কঠিন হবে তা উপলব্ধি করতে পারছেন তারা।
চীনা অর্থনীতির বিপরীতে পশ্চিমা অর্থনীতির ভারসাম্য তৈরি করতে চুক্তিটির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।