খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : স্কুলের স্থান নির্ধারণ নিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের গুলিতে ১৫ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের ছব্দুল, চুয়াডাঙ্গা গ্রামের শফি, বাবুল, রিয়াজ, ফেলা, সাব্বির, শাহিন, ওমর আলী ও সমির আলীর পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে ছব্দুল, শফি ও রিয়াজ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৩ জন ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় বি.সি.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলীসহ ৮ জনের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট এবং ভাংচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের খোকনের নেতৃত্বে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বাজারে হামলা চালায়। এ সময় বাজারের লোকজন প্রতিরোধ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে ভোমরাডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শরিয়তুল্লার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়।
এ সময় ১৫ জন আহত হন।
পুলিশের গুলিতে আহতরা অভিযোগ করেন, লক্ষœীপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি শরিয়তুল্লা ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের লোকজনের পক্ষ নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর গুলি চালিয়েছে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংঘর্ষের সময় চুয়াডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত ইয়াকুব, সেলিম, কোরবান, তক্কেল, নজরুল, মনিরুল, লালচাঁদ ও সানাজুলের দোকান ভাংচুর করে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের খোকন মসিয়ার মাষ্টার, ইব্রাহিম ও মহিদুল স্কুলটির স্থানের নাম করণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করছে। তাদের ইন্ধনেই আজ আমাদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালায় এবং দোকার ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর জানান, সতের বছর আগে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বি.সি.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম করণ নিয়ে আগে থেকে তিন গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের সূত্র ধরে সোমবার সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
তিনি আরো জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে গুলিতে কেউ আহত হয়নি। তিনি এখন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি পুলিশের সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।