খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গৃহপালিত পশু গরু ও ছাগল। এসব রোগ সারাতে গৃহপালিত পশুর মালিকরা হাতুড়ে ডাক্তারদের শরনাপন্ন হয়ে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন।
সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে লতীফপুর ইউনিয়নের ঘোষের চর গ্রামের শাহাজাহান শেখ (৫৫) তার দুই বছর ছয় মাস বয়সী পেপিলোমা ভাইরাস আক্রান্ত একটি গরু নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। কিছু দিন শহরতলীর কাড়ারগাতী গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার পরিতোশ তাকে চিকিৎসা দিলেও গরুটি সুস্থ হয় নাই। বরং গরুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন ভবেশ বাইন চিকিৎসা সেবা দিলেও গরুটির স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে না। পেপিলোমা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে অসংখ্য আচিঁল হয়। অটোহেমো থেরাপী দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা করাতে হয়। এ পদ্ধতিতে ভেইন থেকে রক্ত নিয়ে মাংসে ইনজেক্ট করাতে হয়।
এদিকে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত প্রায় হয়ে পড়েছে শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার বিধান চন্দ্র মজুমদারের ২ বছর বয়সী একটি গরু। কিছুদিন ধরে গরুটির চিকিৎসা করালেও তাতে কোন লাভ হয় নাই।
সদর উপজেলার চর গোবরা গ্রামের মো: ইলিয়াস (৩২) সোমবার তার গর্ভবতী একটি ছাগলকে বাধ্য হয়েছেন ডেলিভারি করাতে। ছাগলটির জোড়া বাচ্চা পেটের মধ্যে মরে পচে গেছে। মো: ইলিয়াস জানান বাগেরহাট জেলার মোল্ল্যাহাট উপজেলার হাতুড়ে ডাক্তার ফারুক গর্ভবতী ছাগলটিকে পিপিআর রোগের জন্য ইনজেকশান দেয় দশদিন আগে। ঐ ইনজেকশন দেয়ায় প্রেগনেন্সি টকসিমিয়া জনিত কারনে গর্ভবতী ছাগলের জোড়া বাচ্চা মারা যায় গর্ভে থাকতেই বলে জানিয়েছেনভেটেরিনারী সার্জন ভবেশ বাইন । সোমবার ডেলিভারীর পর ছাগলটিকে এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন এবং মেট্রোনিডাজল দেয়া হয়েছে। মো: ইলিয়াস জানিয়েছেন গত কয়েক মাসে তার আরও ৫ টি ছাগল মারা গেছে।
হাতুড়ে ডাক্তারদের দৌরাত্মে এবং তাদের প্রদত্ত ভুল চিকিৎসায় হুমকির মুখে পড়েছে সদর উপজেলার প্রানী সম্পদ বলে দাবী করেছেন ভেটেরিনারী সার্জন ভবেশ বাইন।