খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তৃণমূল পর্যায়ের স্বায়ত্তশাসিত পঞ্চায়েত ব্যবস্থার নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ভারতের গ্রামীণ তৃণমূল পর্যায়ের স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই নির্বাচনও হয় দলীয় মনোনয়নেই।
ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যোগাযোগ অনেক সহজ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট আছে। ওখানে অনেক কিছু দেখা যায়। আমরা তা দেখেছি। ভারতে পঞ্চায়েত নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। তবে তাদের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করব। তারা কীভাবে নির্বাচন করে সে বিষয়ে আরো জানার চেষ্টা করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে স্থানীয় নির্বাচন এতদিন নির্দলীয়ভাবে হয়েছে। সম্প্রতি সরকার দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য বর্তমান আইনগুলো পরিবর্তনে মন্ত্রিসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই ধরে নিচ্ছি, দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের আইন হচ্ছে। সেভাবেই আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালাতেও প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে যে আচরণ বিধিমালা আছে, তা নির্দলীয় প্রার্থীদের জন্য করা হয়েছিলো। এখন দলীয় ভিত্তিতে হবে, তাই বিধিমালায় এখন সংশোধন আনতে হবে। আইন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালা পরিবর্তনের কাজ শুরু করব। তবে কিছু কিছু প্রস্তুতির কাজ করে রাখছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই করতে পারব না, যতক্ষণ না আইন হবে। কেননা, বিধিমালা করার ক্ষমতা আইনেই দেওয়া হবে।’
সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনগুলো এর আগে নির্দলীয় হলেও সবাই দেখেছেন, এতে দলীয় সমর্থন থাকে। দলের সব শক্তি তারা ওখানে নিয়োগ করেন। তাই মনে করি না যে, এটি আইনি কাঠামোয় আনার ফলে অতিরিক্ত কিছু হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো-প্রার্থীদের গণতান্ত্রিক আচরণ। তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করলে কোথাও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়। এর মধ্য দিয়ে এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে পারবেন মনোনীত প্রার্থীরা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন করারও অধিকার থাকছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নির্বাচনকেন্দ্রিক হানাহানি-মারামারি কমে যাবে। অপরদিকে এ ব্যবস্থার মধ্যে সরকারের নীলনকশার বাস্তবায়ন দেখছেন বিএনপি নেতারা।