খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : সিরিয়ার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার সেনা পাঠিয়েছে ইরান। কয়েকদিন ধরে এসব সেনারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। বার্তা সংস্থা এপিকে এক ইরানী কর্মকর্তা জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান হামলার মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে ইরানী সেনারা উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো প্রদেশে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান। ইরানী সেনার পাশাপাশি সিরিয়ায় আরও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাও পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। ইরানী সেনারা দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। ইরানী সেনাদের উপস্থিতি যুদ্ধরত আসাদ সরকারের সমর্থনে রুশ অভিযানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সিরিয়ায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইরানী সেনা মোতায়েন আরও বেশি সহিংসতার জন্ম দেবে বলে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাজাম্মু আলিজার নেতা মেজর জামিল সালেহ বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন। সিরিয়ায় ইরানের উপদেষ্টা ও সামরিক বিশেষজ্ঞ রয়েছে বলে দু’দেশের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছিলেন। তবে সিরিয়া যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ইরানের সরাসরি অংশগ্রহণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেল। এসব সেনার উপস্থিতি সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের আগুনে আরও ঘি ঢেলে দেবেও ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, তার দেশ রাশিয়াকে সাহায্য করবে। ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া ও ইরাক ‘সাফল্যের’ স্বাক্ষর রেখেছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, সিরিয়ায় লড়াইরত বিদ্রোহীদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেবে না বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বরং আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহীদের আরও অস্ত্র যোগান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে, সিরিয়ায় রুশ সামরিক হস্তক্ষেপকে ইরান সমর্থন জানালেও ন্যাটো এর সমালোচনা করেছে। রাশিয়া চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুরোধে আইএস ও অন্য বিদ্রোহী দলগুলোকে দমনে এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তবে রুশ বিমান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপরও হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও মস্কো এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।