খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫ : প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু
বাংলাদেশ যাতে বিদেশি অচল ও নিন্মমানের পণ্যের ডাম্পিং স্টেশনে (ভাগাড়ে) পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে আমদানিকারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ৪৬তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগিদ দেন। রাজধানীর বিএসটিআই মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ৬ শতাংশেরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের মূল্যায়নে নিন্ম-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির এ ধারা এগিয়ে নিতে জ্ঞানভিত্তিক সবুজ শিল্পায়নের প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য শুধু দেশেই ব্যবহার হচ্ছে না, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানি বাড়াতে হলে পণ্যের গুণগতমানের বিষয়ে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিএনপি সরকারের আমলে চিংড়িতে লোহা ঢুকিয়ে রপ্তানি করায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছয় বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলে ব্যবসায়ী ও দেশ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আমদানি-রফতানি সব ক্ষেত্রেই গুণগতমানের বিষয়ে আপসহীন হতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে, মান বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে। নিন্মমানের পণ্যের বিরুদ্ধে সরকার ইতিমধ্যে দেশব্যাপী অভিযান জোরদার করেছে। ফলে মৌসুমী ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ভেজাল প্রদানের প্রবণতা কমে এসেছে।
তিনি পণ্য উৎপাদক, বাজারজাতকারী ও ভোক্তা সাধারণের মধ্যে নকল ও ভেজাল বর্জনের মানসিকতা তৈরি করতে ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐকবদ্ধ ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেন।
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ, বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) মো. রেজাউল করিম প্রমখ।