খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫ : রিদমিক জিমন্যাস্টিকে বিশেষ সাফল্যের সাক্ষর রেখেছেন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রিতা। ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে! যা কিনা সত্যি বাংলাদেশের জন্য গর্বের ও আনন্দের। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিতাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বাংলার বাঘিনী’ নামে। রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতার পুরো নাম ‘মার্গারিতা মামুন’। রিদমিক জিমন্যাস্টিকে অনন্য সাফল্যের পর মার্গারিতা মামুন নামেই সারা বিশ্ব চেনে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে মূলত নারীরাই অংশগ্রহণ করে থাকেন। রাশিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় এই বিশেষ খেলাটিতে, সঙ্গীতের তালে নেচে নেচে বিভিন্ন ধরনের শারিরীক কসরত দেখানো হয়। এই রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে ২০১৩ সালে রিতার গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। দেশটিরর বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ট এর প্রচ্ছদে উঠে আসে তার সাফল্যের গল্প। তার বাবা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশের রাজশাহীর ছেলে। ১৯৮৩ সালে স্কলারশীপ নিয়ে তিনি রাশিয়া যান। পরে সেখানেই স্থায়ী হন। মা রাশিয়ান বংশদ্ভুত এ্যানা একজন পেশাদার রিদমিক জিমন্যাস্টিক ছিলেন। ফলে বলা যায়, ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া রিতার জন্মসূত্রেই রয়েছে রিদমিক জিমন্যাস্টিকের উত্তরাধিকার। ফলে, ছোটবেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকস চর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। ১৯ বছর বয়সী রিতা মা, বাবা ও ছোট ভাই ফিলিপসের সঙ্গে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বসবাস করছেন। শৈশবে রিতা বেশ কয়েকবার বাংলাদেশেও এসেছেন বলে ইউরো স্পোর্টের প্রতিবেদনে জানা যায়। অল্প পরিমানে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলাও বলতে পারেন। রিতা সাত বছর বয়স থেকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকস চর্চা শুরু করেন। ২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ তাঁর। রিতা জুনিয়র হিসেবে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। তবে এক পর্যায়ে রাশিয়ার হয়েই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কারন বাংলাদেশে রিদমিক জিমন্যাষ্টিকসের সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই।