Thu. Aug 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : আজ মহাষ্টমী। এ দিন শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ। দেবীর সন্ধিপূজা এবং রামকৃষ্ণ মিশনগুলোতে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্ব্বীরা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা।
শাস্ত্রমতে, এদিন মা দুর্গার অপর কোনো নামে কুমারীর নামকরণ করা হবে। কোনো ছোট্ট শিশুকন্যাকে ‘কুমারী মা’-এর আসনে বসানোর পরপরই আজ সকাল ১১টায় রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হবে কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূত্রপাত হবে।
এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মা’-এর পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। পূজার শেষে প্রধান পূজারি দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করবেন। পূজার মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মধ্যে চরণামৃত বিতরণের মধ্য দিয়ে ৪০ মিনিট পর শেষ হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের সহসম্পাদক এবং পূজার তন্দ্রধারক স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) জানান, মিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুরসহ কয়েকটি মঠ এবং কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী পূজামণ্ডপেও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর রাম কৃষ্ণ মিশন সড়কে রয়েছে রাম কৃষ্ণ মিশন ও মঠ। শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে ঢাকার এ মিশনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৯ সালে। ১৯১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বেলুর মঠের স্বীকৃতি লাভ করে। এখানকার মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। যা প্রতিবছর মহা অষ্টমীর দিনে এ মন্দিরে পালন করা হয়। এক কিশোরী কুমারীকে দেবীর আসনে বসিয়ে মাতৃরূপে পূজা-অর্চনা করা হয়। ঢাকের বাদ্য, শঙ্খের ধ্বনি, কাঁসার ঘণ্টা, আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে কুমারী মাকে পরিয়ে দেয়া হয় পুষ্পমাল্য।
২২ তারিখ মহানবমী পূজা। সনাতন পঞ্জিকা মতে, এবার ২২ অক্টোবর একই দিনে মহানবমী ও বিজয় দশমী। তবে সারা দেশে ২৩ অক্টোবর বিজয়া শোভাযাত্রাসহকারে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহালয়ার দিন থেকেই মূলত শুরু হয় দেবী দুর্গার আগমনধ্বনি।
এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ ও র‌্যাববের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ২৯ হাজার ৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মণ্ডপের সংখ্যা ২২২টি।