খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : আজব এক সমাজ ব্যবস্থা যেখানে। এই সমাজে কোন বিয়ে শাদীর দরকার নেই। দরকার নেই কোন সামাজিক স্বীকৃতির। কোন মেয়ে যদি রাতে তার ঘরে কোনো পুরুষকে আমন্ত্রন জানায়, তাহলে সেই পর পুরুষটি হয়ে যায় এক রাতের জন্য ওই মেয়ের স্বামী। আর এমনই এক আজব সম্প্রদায়ের নাম মসুও। এমন রীতিই প্রচলিত আছে চীনের মসুও সম্প্রদায়ে। চীনের ইউনান ও সিচুয়ান প্রদেশে এ জনগোষ্ঠীর বাস। এদের সংখ্যা চীনে ৩ লক্ষ ২০ হাজার। মসুও কোন নারী কোন পুরুষকে আমন্ত্রণ দিলে সেই পুরুষ যদি নারীর সঙ্গে থাকতে চায় এবং তাদের ঔরসে যদি কোনো সন্তান হয় তবে তাকেই স্বামী হিসেবে মেনে নেয় ওই নারী। এ ধরনের বিয়েকে ‘ওয়াকিং ম্যারেজ’ বা’ হাঁটা বিয়ে’ নাম দিয়েছে সমাজবিজ্ঞানীরা। কারন এ ক্ষেত্রে আমন্ত্রতি পুরুষটি রাতে হেঁটে আমন্ত্রিতার ঘরে যেয়ে রাত কাটায় এবং সকাল বেলা বেরিয়ে যায়। মসুও সম্প্রদায়ের পুরুষকে থাকতে হয় স্ত্রী মর্জির ওপর। স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে বেশি দিন থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। সন্তানের কোনো দায়িত্ব নিতে হয় না মসুও পুরুষ। শুধু বিশেষ বিশেষ দিনে সন্তানের খোঁজ নেয় তাদের বাবা। যেমন চীনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, সন্তানের জন্মদিন ইত্যাদি। মসুও পুরুষরা সারা দিন কোন কাজ কর্ম করে না। বিশ্রামে থাকে। শুধু রাত্রি বেলা স্ত্রীলোকদের সঙ্গ দেয়। এছাড়া মাছ ধরা ও কোনও কিছুর পাহারা দেবার কাজ করে এরা। এ সম্প্রদায়ের বয় জ্যৈষ্ঠ পুরুষদের কাছ থেকে এসব শিখে পুরুষরা। এভাবে পিতা ও স্বামীর সাহায্য ছাড়াই মসুও সমাজ গড়ে উঠেছে। টিকে আছে এই পৃথিবীতে। এছাড়া এ সম্প্রদায়ের স্বামী স্ত্রী’রা ভাই ও বোনের সন্তানকে নিজের সন্তানের মত দেখভাল করে।