Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

35খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: দেশে এখন অন্যায়, অবিচার ও অনাচার চলছে এমন অভিযোগ করে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আশুরার চেতনা বুকে ধারণ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শুক্রবার দুপুরে মহররম উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এ দেশে মানুষের সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা এখন সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর চালাচ্ছে সীমাহীন জুলুম। জনগণকে শ্বাসরুদ্ধ করতে তাদের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে ১০ মহররমের আত্মত্যাগের চেতনা বুকে ধারণ করে আমাদের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে; স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যায়, অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদের সে শিক্ষাই দেয়। মহানবী (সা.) ও অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তার উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য, গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় একটি দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিল এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায়, বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।’
শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্য এবং কারবালার সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে খালেদা জিয়া তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
অপর এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন ১০ মহররম আমাদের আজও গভীর দুঃখ-ভারাক্রান্ত ও বেদনার্ত করে তোলে। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে গিয়ে তিনি এ দিনে জালিমের হাতে শহীদ হন।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি আর মিথ্যা অহঙ্কারকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার নিজের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। আজকের এ দিনে আমি হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’