Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38 শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫ : চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচে বাজানের তিন গোলদাতা আনোয়ার আকবারি, ফারদিন হাকমি ও রেজাল্লাহ ইয়ারি। তিনবার পিছিয়ে পড়া মোহামেডানকে সমতায় ফেরানো গোল তিনটি করেন ওমোলাজা নুরাইন, তাউরুস তেকোমপ্লেহ মান্নাহ ও কাজেম আমোবি বোলানলে। দ্বাদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বাজান। মুস্তাফা আফসারের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে আচমকা শট নেন আনোয়ার। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও গোলরক্ষক সাদেকুদ্দিনের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। টুর্নামেন্টে এটি আনোয়ারের দ্বিতীয় গোল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানকে এই মিডফিল্ডারের গোলেই হারিয়েছিল বাজান। প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় কলকাতার দলটির অর্ধেই বল রাখে বাজান। ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু আনোয়ারের বাড়ানো বলে শেষ মুহূর্তের টোকাটি দিতে পারেননি ফারদিন হাকিমি। চারটি ফ্লাড লাইটের একটি বন্ধ হয়ে যায় এর একটু পরই। আলোক স্বল্পতায় ১৪ মিনিট খেলার বন্ধ রাখেন রেফারি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরে কলকাতার ঘরোয়া লিগের ঐতিহ্যবাহী দলটি। কামরান ফারুকের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় হাত দিয়ে আটকালে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গতিময় শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল হয়নি নুরাইনের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছু লেগে থাকা মোহামেডানের মিডফিল্ডার কাজেমকে ছিটকে দিয়ে অসাধারণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফারদিন। মান্নাহ ও নুরাইনের দুটি আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর ৭০তম মিনিটে সমতায় ফেরে ভারতের ঘরোয়া লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা দলটি। দীপকের ক্রসে গতিময় শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মান্নাহ। ৮৫তম মিনিটে কলকাতা মোহামেডানের দীপকের ক্রস থেকে মান্নাহর হেড গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার মোহাম্মদ হাশেমি। এর পাঁচ মিনিট পর বাজান স্কোরলাইন ৩-২ করে নিলে জমে ওঠে ম্যাচ; বদলি নেমেই শরীরটাকে অনেকটা ঘুরিয়ে নেওয়া রেজাল্লাহর শট ঠিকানা খুঁজে পায়। যোগ করা সময়ে আফগানিস্তানের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়নদের জয়ের প্রস্তুতি মাটি করে দেন কাজেম; নিখুঁত হেডে স্কোরলাইন ৩-৩ করে দেন কলকাতা মোহামেডানের এই মিডফিল্ডার। শেষের বাঁশি বাজার আগে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় বাজানের। ডান দিক থেকে নেওয়া আনোয়ারের শট দুরের পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে বাজান। ৩ পয়েন্ট করে আছে ঢাকা মোহামেডান ও সলিড এসসির। আর ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চার দলের মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে কলকাতা মোহামেডান।