খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫ : রাজধানীর গাবতলীতে তল্লাশি চৌকিতে ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্য এএসআই ইব্রাহিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পরই গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদ রানাকে (২৫)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সেলিম হোসেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজত চান। শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন সময় দিয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য এনামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মাসুদ রানার বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘীতে। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর যুবকও শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা দুজনেই একই এলাকার। ঘটনার মূল রহস্য ও ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য মাসুদ রানাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি বলেও রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়। শনিবার বিকালে মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করার পর বিচারক খুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, এ হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত না থাকলেও তার সঙ্গে থাকা অপর যুবক এনামুল জড়িত। বিচারককে তিনি জানান, গাবতলীর পর্ব্বত সিনেমার কাছে তল্লাশি চৌকিতে এনামুল ও তিনি একই সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন মাসুদ। এদিকে মাসুদ রানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কামরাঙ্গীর চরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেনেড সহ অন্যন্য বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার রাকিব, ফজলে এলাহী ও মো. আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজত চাওয়া হলেও আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। মহানগর হাকিম মো. তসরুজ্জামান তাদের পক্ষে কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চাইলে শুনানি শেষে তা নাকচ করেন। এ আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শেখ রকিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। দারুস সালাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইব্রাহিম মোল্লার হত্যার ঘটনায় দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা এবং কামরাঙ্গীচর থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। দারুস সালাম থানার ওসি সেলিমুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে গ্রেপ্তার হওয়া মাসুদ রানা এবং পলাতক এনামুল হক কালামকে আসামি করে হত্যা মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয়ের ৮/১০ জনকে। দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।