খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: বিশেষায়িত থেকে নিয়মিত ব্যাংকিংয়ে যেতে চায় প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে এ বিশেষায়িত ব্যাংকটি।
ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এস আসলাম আলম বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক নিয়মিত ব্যাংক পরিচালনার জন্য আবেদন করেছে। এ আবেদনটি বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে আছে। অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর অন্যান্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রবাসীদের অর্থনৈতিক সহায়তা ও কল্যাণে ২০১১ সালে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ সরকার। এ ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য বিদেশগামী কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি নিরাপদে দেশে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা। তবে ব্যাংকটি বিশেষায়িত হওয়ায় এ প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই নিয়মিত ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে কয়েক দফা আবেদন করেও কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই সর্বশেষ ভরসা হিসেবে অর্থমন্ত্রণালয়ের দারস্থ হয়েছে এ ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো মোশারফ হোসেন চেীধুরী বলেছেন, একটি নিয়মিত ব্যাংক বিদেশ থেকে সহজেই নিজস্ব চ্যানেলে প্রবাসীদের অর্থ দেশে আনতে পারে। কিন্তু বিশেষায়িত ব্যাংক হওয়ার ফলে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক তা পারছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে, এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসে যাওয়া শ্রমিকরা যাতে এ ব্যাংকের মাধ্যমেই তাদের টাকা দেশে পাঠাতে পারে। বর্তমানে অন্য ব্যাংকের চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা আনতে হচ্ছে। তাছাড়া বিশেষায়িত হওয়ায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টও পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী একটি নিয়মিত ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা হতে হবে। কিন্তু এই ব্যাংকের মূলধন আছে মাত্র ১০০ কোটি টাকা। ফলে তারা নিয়মিত ব্যাংকের অনেক কিছুই করতে পারে না। যদি করতে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম-নীতি মেনেই করতে হবে।
জানা গেছে, ব্যাংকের প্রারম্ভিক পরিশোধিত মূলধন একশ কোটি টাকা, যার ৫ শতাংশ সরকার এবং ৯৫ শতাংশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং শেয়ারের ফেইস ভ্যালু ১০০ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ফেইস ভ্যালু হবে ১০ টাকা। একইসঙ্গে ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ কোটিতে।
জানা গেছে, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা থেকে ৪০০ কোটি টাকা করতে রাজি আছে। বাকি ৩০০ কোটি টাকা কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে বলে ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে।
জানা গেছে, ব্যাংক প্রবাসপ্রত্যাশী কর্মীদের মাত্র তিনদিনে ৯ শতাংশ লাভে অভিবাসী ঋণ প্রদান করে থাকে।