Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের মামলা বাধাগ্রস্ত করতে এবং 56বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের চলমান বাণিজ্য কার্যক্রমকে কঠিন করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০১৫ সালের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনী প্রতিষ্ঠান একিন গাম্পকে (অশরহ এঁসঢ় ঝঃৎধঁংং ঐধঁবৎ ্ ঋবষফ খখচ) নিয়োগ করেছিল। একিন গাম্প এর সঙ্গে এ্যাপয়নমেন্ট করতে এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা এবং প্রতিষ্ঠানটির পেছনে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা খরচ করে বিএনপি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এই তথ্য জানান।
তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে এই তথ্যকে মিথ্যা তথ্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম আরও জানান, বিএনপির এই তথ্য নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সকল মহলে জানান হচ্ছে। কেননা এটি দেশের অর্থ পাচারসহ দেশ বিরোধী কার্যক্রমের অংশ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি একিন গাম্প নামের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি লবিস্ট প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রার বিনিময়ে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করেছিল ২০১৫ সালের শুরুতে। যার মাসিক ফি’র পরিমাণ ছিল ৪০ থেকে ১২০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা। চারটি কারণ দেখিয়ে বিএনপি ওই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছিল। কারণ চারটি হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ট্রেড পলিসি ও ট্রেড নেগোশিয়েশন, মানবাধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কন্নয়ন।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যে বিএনপি সংসদে নেই, সরকারে নেই এবং বিরোধী দলেও নেই সেই বিএনপি বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি বা নেগোশিয়েশন নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে কি তদবির করতে পারে। আমার তো এখন খালেদা জিয়ার নিজের লেখা ওয়াশিংটন টাইমসের কলাম স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য কঠিন করার জন্য তারা এই অর্থ ব্যয় করছে।’
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই এই লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। আর এটা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না। কেননা ওইখানে নিয়োগকারীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, ২৮ ভিআইপি রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ, যা বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানা।’
শাহরিয়ার আলম অভিযোগের সুরে বলেন, ‘এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এপয়েনমেন্ট করা হয়, তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা। মাসে যে ৪০ থেকে ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের ফি দিচ্ছে, তা কী নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলের আর্থিক ব্যয়ের হিসাবে দিয়েছে। এ তথ্য সরকারের অন্যান্য মহলে বিতরণ করবো এবং আশা করি, তারা পদক্ষেপ নেবে। আমরা নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংককেও জানাব।’
এই বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা তথ্য। আমরা কোনো লবিস্ট নিয়োগ করিনি। কাউকে কোনো অর্থও দেইনি। কেননা বিএনপি জনগণের উপর নির্ভরশীল একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর একটি রাজনৈতিক দল। সরকার এই অভিযোগ কেন করেছে, সরকারই ভালো বলতে পারবে।