খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : নগ্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, তাও আবার ইসলামিক রাষ্ট্র মালয়েশিয়ায় – এও কি সম্ভব? হ্যাঁ, পেনাং দ্বীপে এমনই এক আয়োজন হয়েছিল, যার নাম ‘‘পেনাং ন্যুড স্পোর্টস গেমস ২০১৪’’। কিন্তু এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদের এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।
মে মাসের ৩১ তারিখে মালয়েশিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলের পেনাং দ্বীপে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। রিলে দৌড়, নৃত্য, শরীর আঁকাসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে। তবে অংশগ্রহণকারীদের কারো দেহেই আবরণ ছিল না। গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঐ আয়োজনের একটি ভিডিও। সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায় এবং মালয়েশিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। তারপরই সন্দেহভাজন ১৮ জনের তালিকা তৈরি করে মারয়েশিয়ার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজনদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। সেই সাথে আটক করেছে এক সংগীত শিক্ষিকাকে। ‘‘পেনাং নুড স্পোর্টস গেমস ২০১৪” নামের ভিডিওটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ভিমিও-তে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় এবং পত্রিকার শিরোনামে চলে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তারা এমন ভঙ্গি করেছিল, যা যেকোন মানবিক আচরণের লঙ্ঘন। ফলে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তাঁদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এমনকি জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৪ বছর বয়সি ঐ সংগীত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ৫৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক ও সিঙ্গাপুরের এক নাগরিককেও খুঁজছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষের ধারণা এই দুই ব্যক্তি ঐ ইভেন্টের আয়োজক। তবে ভিডিওটি ‘আপলোড’ করা হয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে। সন্দেহভাজন ১৫ জনের মধ্যে সাতজন মালয়েশিয়ার, চারজন সিঙ্গাপুরের, দুই জন মিয়ানমারের, একজন ফিলিপিন্স ও একজন ভারতের নাগরিক রয়েছেন।
ঐ প্রতিযোগিতায় যে দলটি অংশ নিয়েছিল তাদের পারাপারকারী মাঝিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ভিডিওতে দেখা গেছে চার নারী এবং ১৪ পুরুষের একটি দল পুরো শরীরে রং মেখে গ্যাংনাম স্টাইলে নাচছে। এছাড়া একটি পুরুষের উপর অন্য নারীরা চড়ে নৃত্য করছে। মালয়েশিয়ায় ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৬০ ভাগই মুসলিম। তবে এই ঘটনায় কেবল মুসলিম সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষই এর নিন্দা জানিয়েছেন।
জার্মানিতে নগ্ন হওয়ার স্থান
এফকেকে মানে হলো ‘ফ্রাইক্যোর্পারকুলটুর’, অর্থাৎ ‘ফ্রি বডি কালচার’। কোনো ছুটি কাটানোর স্থানে এই চিহ্নটি থাকার মানে আপনি সেখানে পুরো নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করতে পারবেন। যে-কোনো বয়সের বা লিঙ্গের সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য। তেমন কোনো স্থানে যদি আপনি জামা-কাপড় পরে যান, তাহলে বাকিরা কিন্তু আপনাকে ‘অস্বাভাবিক বিনয়াভিমানী বিদেশি’ বলেই বিবেচনা করবে