খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫: একের পর এক নতুন মানুষকে আদালতের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে নেইমারের ‘বিষময়’ ট্রান্সফার। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে তাঁর বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া চুক্তির কর সংক্রান্ত জটিলতায় এবার আদালত ডেকে নিচ্ছে নেইমারের মা-কেও। আগে থেকেই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নিজে, তাঁর বাবা, বার্সেলোনা, সান্তোস ও তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানকে আইন-আদালত করতে হচ্ছে এই মামলায়।
সান্তোস-বার্সা চুক্তিতে ‘দুর্নীতি ও প্রতারণা’র অভিযোগে ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ডিআইএস গত জুনে মামলাটি করেছে। নেইমার সান্তোসে থাকার সময়ে তাঁর স্বত্ত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা ছিল এই কোম্পানিটির। কোম্পানিটির দাবি, তাদের ঠকানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নেইমারের মূল্য ঘোষণা করা হয়েছিল ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে ১৭.১ মিলিয়ন পেয়েছে ডিআইএস। তবে পরে জানা গেছে, নেইমারের মূল্য আসলে ৮৩ মিলিয়ন ইউরো। এরপরই কোম্পানিটি মামলাটি ঠুকে দিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রকৃত দলবদল মূল্য নিয়ে ধোঁয়াশা অবশ্য এখনো কাটেনি।
আদালতের বিচারক কাল জানিয়েছেন, নেইমারের মা নাদিন গনসালভেজ দা সিলভা সান্তোসও তাঁদের পারিবারিক ব্যবসায়ের ৫০ শতাংশের মালিক। তাই তিনিও নেইমারের বাবার মতোই সমানভাবে দায়বদ্ধ। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা ‘এনএন্ডএন’ নাকি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছিল সান্তোস-বার্সা চুক্তির ঠিক আগে। খোলার সময় বলা হয়েছিল, নেইমারের চুক্তি থেকে ১০ মিলিয়ন ইউরো এই কোম্পানির হিসাবে ঢুকবে। ডিআইএস দাবি করছে, প্রকৃতপক্ষে ৪০ মিলিয়ন এই কোম্পানির পকেটে গেছে। অন্য কোনো ক্লাব যেন নেইমারকে সই করাতে না পারে সেজন্যই নাকি এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে এই মামলায় নেইমারের ৪৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে ব্রাজিলের আদালত।
নেইমারের কর প্রতারণার মামলা চলছে। মেসি তো কর প্রতারণায় জেলের শাস্তির শঙ্কায়। মাচেরানোর ওপরও আছে কর প্রতারণার মামলা। বার্সেলোনা আর কর প্রতারণার মামলার সম্পর্কটা যেন দিন দিন আরও পোক্ত হচ্ছে। তথ্যসূত্র: মার্কা, এনডিটিভি।