Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫: ফুটবল সম্রাট যদি পেলে হন তবে ফুটবলের রাজপুত্র ডিয়েগো 68আরমান্দো ম্যারাডোনা। আজ এই আর্জেন্টাইন গ্রেট ফুটবলারের ৫৫তম জন্মদিন।
এক নজরে এই গ্রেট ফুটবলারের প্রোফাইল:
১৯৬০: ৩০শে অক্টোবর আর্জেন্টিনার রাজধানী আইরেস প্রদেশের এর লেনাস জেলায় জন্ম।
১৯৭৬: স্থানীয় কাবের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিষেক।
১৯৭৭: ২৭ শে ফেব্র“য়ারি তারিখে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন তিনি। বয়স ১৬ বছর ১২০ দিন।
১৯৭৮: বয়স কম হবার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লেন।
১৯৭৯: ২ জুন, জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করলেন। অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা ও জয় করলেন।
১৯৮২: ২১ বছর বয়সে দলের সাথে ইউরোপে পাড়ি জমালেন স্পেন এ বিশ্বকাপ খেলার জন্য। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নিলো। ব্রাজিলের বাতিস্তাকে ফাউল করার অপরাধে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বিশ্বকাপের পর যোগ দেন স্প্যানিশ সেরা কাব বার্সেলোনায়।
১৯৮৪: ইতালীয় কাব নাপোলিতে যোগ দিলেন। ৪.৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ।
১৯৮৬: ঈশ্বরের হাতের খ্যাতি আর সাথে সাথে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। এক ম্যাচেই করলেন নিন্দিত ও নন্দিত গোল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম গোলটি করলেন হাত দিয়ে যা বিশ্বে ‘হ্যান্ডস অফ গড’ বলে পরিচিত। পরের গোলটি করলেন সর্বকালের সেরা গোল ‘গোল অফ সেঞ্চুরি’। জিতলেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। এ বছরই ইউরোপের সেরা ফুটবলার এর পুরস্কার পেলেন।
১৯৮৭: নাপোলিকে জেতালেন ইতালীয় ফুটবলের শিরোপা।
১৯৯০: সন্তানের পিতৃত্ব সংক্রান্ত মামলায় জরিমানা। বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল আর্জেন্টিনা।
১৯৯১: ড্রাগ টেস্ট এ পজিটিভ হবার কারণে ইতালি ত্যাগ করতে হল। কোকেন গ্রহণের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার হলেন।
১৯৯২: স্প্যানিশ কাব সেভিয়া ফুটবল কাব-এ যোগ দিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ক্রীড়া নৈপূণ্য দেখাতে পারলেন না।
১৯৯৩: সেভিয়া ছেড়ে আবারও আর্জেন্টিনায় ফিরে এলেন। যোগ দিলেন স্থানীয় নিউ ওল্ড বয়েজ দলে।
১৯৯৪: আবার ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে দুই ম্যাচ পরেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন। বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে রইল ম্যারাডোনার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে। ।
১৯৯৬: মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য কিনিকে ভর্তি হলেন।
১৯৯৭: ৩৭ বছর বয়সে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিলেন।
২০০০: হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উরুগুয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সে বছরই পেলেন ফিফা কতৃক সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
২০০৮: আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়শন ঘোষণা করে ডিসেম্বর ২০১০ থেকে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের কোচ মারাদোনা।
২০১০: ২০১০ সালে বিশ্বকাপে কোয়ার্টাও ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের পর জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেন।
২০১১: আরব আমিরাতের আল ওয়াসেল ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।