Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

56খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: নতুন আইনে দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হলে আগামী চার দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করতে হবে। নতুবা ডিসেম্বরের মধ্যে দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন সম্ভব হবে না।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে ​এই কমিশনার বলেন, নির্বাচন করতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। গণমাধ্যমে জেনেছি সরকার স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে পৌরসভা আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করবে। কিন্তু দু চার দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে নতুন আইনে ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
গত ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংশোধন আইন একযোগে অনুমোদন করা হয়। আইনগুলো হচ্ছে: স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন, ২০১৫; উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৫; জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৫; স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন, ২০১৫ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন আইন, ২০১৫।
এসব আইনের আওতায় পর্যায়ক্রমে ৩২৩টি পৌরসভা, ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৮৮টি উপজেলা, ১১টি সিটি করপোরেশন এবং ৬৪টি জেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সরকারের এই পাঁচটি স্তরেই দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন করতে আইনের সংশোধন অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সংশোধনী অনুযায়ী, পাঁচ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণের পর কোনো কারণে নির্বাচন না হলে প্রশাসকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
নির্বাচনে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে। স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রাখা হলেও তাঁদের জন্য বিধি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।
পৌরসভা নির্বাচন দিয়েই দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে প্রথম স্থানীয় নির্বাচন করতে সরকার আগ্রহী। সময় কম থাকায় আইনের বদলে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। তবে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করা হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকারের অন্য চারটি আইনও ওই অধিবেশনে পাস হবে। আইনগুলো পাস হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এ-সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করবে।