খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫: গোলটা আসলে তিনি করতে চাননি! শুনতে অবাক লাগতে পারে, গোল কে না করতে চায়? না, নাচোর লক্ষ্য ঠিক গোল করা ছিল না। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন সতীর্থদের উদ্দেশে। কিন্তু সেখানে সতীর্থদের কেউ ছিল না। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকও। এমনি ডিফেন্ডারদের কেউও তখনো পৌঁছাতে পারেনি।
নাচোর সেই নাচুনে গোল। ছবি: এএফপিনাচোর ক্রসটাই বলে তুলে দিল ঘূর্ণি। যেন শেন ওয়ার্নের লেগ স্পিন। বল পাঁক নেচে নিয়ে, মঞ্চ থেকে উইংস দিয়ে চকিতে বের হয়ে হয়ে যাওয়া নৃত্যশিল্পীর মতো ঢুকে গেল জালে। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দ্বিতীয় গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম। সেটিও কী এক নাটকীয়তায়। সেটিও মাঠে নামার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে! নাচোর নাচুনে গোলেই কাল পিএসজিকে হারাল স্বাগতিকেরা।
নাচোর মাঠে নামার মধ্যেও খানিকটা নাটকীয়তা আছে। প্রথম একাদশে ছিলেন না। মাঠে নামতেনই এমন নিশ্চয়তাও ছিল না খুব বেশি। নামলেও হয়তো নামতেন দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে। কিন্তু মার্সেলোর অপ্রত্যাশিত চোট সুযোগটা এনে দিল। ৩৩ মিনিটে মাঠে নামলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিয়ালের একটি গতিময় পাল্টা আক্রমণ। টনি ক্রুসের জোরালো শট বক্সের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পিএসজি ডিফেন্ডারের কাঁধে লেগে বল ছুটল মাঠের বাইরে। ডিফেন্ডারার ভেবেছিল বল চলেই যাবে, কেউ কাভার করার জন্য এগোল না তক্ষুনি।
কিন্তু নাচো ছিলেন সুযোগ সন্ধানী। বাঁ প্রান্ত থেকে ঝোপে লুকিয়ে থাকা শিকারি বাঘের মতো হুট করে আবির্ভাব দৃশ্যপটে। দ্বিধান্বিত পিএসজি গোলরক্ষক এগিয়ে গেলেন, কিন্তু বলের নাগাল পেলেন নাচোই। সেখান থেকেই ক্রস। বলের ঘূর্ণির কারণেই ঢুকে গেল জালে।
রিয়ালের যুবদল থেকে উঠে এলেও মূল একাদশে সুযোগ পেতে পেতে ২৫-এ পা দিয়ে ফেলেছেন। যুবদলেও গোল করার ব্যাপারে খুব একটা সুখ্যাতি ছিল না। মূলত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার বলে সেই সুযোগও কম। কিন্তু কাল লেফট ব্যাকের ভূমিকায় সুযোগ পেতেই গোল করলেন মার্সেলোর মতোই! গোলের পর উদযাপনটা বাঁধনহারা হলো না। পারলে নেচে নিতে পারতেন নিজেও। কিন্তু নাচো নিজেও হয়তো এই গোলে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গিয়েছিলেন।