খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোটা ভিত্তিক শরণার্থী স্থানান্তর পরিকল্পনার আওতায় ছয়টি পরিবারের ৩০ জন শরণার্থীকে লুক্সেমবার্গে পাঠিয়েছে গ্রিস।
বুধবার গ্রিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে রাজধানী এথেন্স থেকে ইরাক ও সিরিয়ার এই আশ্রয়প্রার্থীরা লুক্সেমবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এ সময় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ও লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুয়ান অ্যাসেলবর্ন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সিপ্রাস বলেন, “এই ৩০ জন আসলে সিরিয়া ও ইরাকের ওই সব হাজার হাজার মানুষের প্রতিচ্ছবি যারা নিজদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে।”
“আমি আশা করছি, মানবিকতার এই জলধারা এক সময় নদীতে পরিণত হবে এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া হবে। কারণ, এ আদর্শের উপর ভিত্তি করেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে।”
সেপ্টেম্বরে ইইউ শরণার্থী স্থানান্তরের এ পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গ্রিস ও ইতালি থেকে এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে কোটা পদ্ধতিতে ইইউভূক্ত দেশগুলোতে স্থানান্তর করা হবে।
যদিও ইইউভূক্ত কয়েকটি দেশ এ পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করেছে।
এথেন্স সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান মার্টিন শুলজ বলেন, “আজ ইরাক ও সিরিয়ার শরণার্থীদের স্থানান্তরের যে দৃশ্য আমরা দেখলাম তা খুবই প্রেরণাদায়ক এবং আমাদের সঠিক পথে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত।”
“তবে এখন পর্যন্ত মাত্র আটটি দেশ এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে যা যথেষ্ট নয়। ইউরোপমুখী এই শরণার্থীরা আমাদের সবার জন্যই চ্যালেঞ্জ।”
এর আগে ইতালি থেকে ৮৬ আশ্রয়প্রার্থীকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে পাঠানো হয়।
ইইউ’র পরিকল্পনায় অনুযায়ী, দুই বছরের জন্য শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে। এজন্য ৭৮০ মিলিয়ন ইউরোর তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইইউভূক্ত ২৮টি দেশ এ তহবিলের যোগান দিয়েছে