Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ২৪৫টি পৌরসভার মধ্যে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির সহকারী সচিব রওশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে আনুমানিক ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছোটখাটো মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা প্রয়োজন।
চিঠিতে সংযুক্ত পৌরসভাগুলো হলো- ঢাকা জেলার ধামরাই ও সাভার পৌরসভা, কুষ্টিয়ার মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী, খোকসা ও কুষ্টিয়া, খুলনার চালনা ও পাইকগাছা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, জীবননগর, আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা, যশোরের নওয়াপাড়া, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া, চৌগাছা, কেশবপুর ও যশোর, নড়াইলের কালিয়া ও নড়াইল, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ, মোংলাপোর্ট ও বাগেরহাট, মাগুরার মাগুরা, মেহেরপুরের গাংনী ও মেহেরপুর, সাতক্ষিরার কলারোয়া ও সাতক্ষিরা, কুমিল্লার চান্দিনা, লাকসাম, দাউদকান্দি, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম ও হোমনা, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ছেংগারচর, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া ও মতলব, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, মীরসরাই, পটিয়া, রাউজান, বারইয়ারহাট, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকুণ্ড, নোয়াখালীর বসুরহাট, চৌমুহনী, হাতিয়া ও চাটখিল, ফেনীর দাগনভূঁঞা, ফেনী ও পরশুরাম, বান্দরবানের লামা ও বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, রাঙ্গামাটির রাঙ্গমাটি, লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও রায়পুর, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুর, কটিয়াদি, বাজিতপুর, ভৈরব ও করিমগঞ্জ, গাজীপুরের শ্রীপুর, গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গীপাড়া, জামালপুরের সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, জামালপুর, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখিপুর, গোপালপুর ও কালিহাতী, নারায়ণগঞ্জের তারাবো ও সোঁনারগাও, নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা, দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া, নরসিংদীর মাধবদী, মনোহরদী ও নরসিংদী, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, নগরকান্দা ও ফরিদপুর, মাদারীপুরের কালকিনি, শিবচর ও মাদারীপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম ও মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া, রাজবাড়ীর পাংশা, রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ, শেরপুরের নকলা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ও শ্রীবরদী, শরীয়তপুরের নড়িয়া, ডামুড্যা, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের পিরোজপুর ও স্বরুপকাঠি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটা, বরগুনার আমতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বরগুনা, বরিশালের মুলাদী, গৌরনদী, মেহেন্দিগঞ্জ, বানারিপাড়া, বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর, ভোলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান ও ভোলা, কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী ও উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশকৈল ও ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, দিনাজপুর, বীরগঞ্জ, বিরামপুর ও হাকিমপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও জলঢাকা, পঞ্চগড়ের পঞ্চগড়, রংপুরের বদরগঞ্জ, লালমনিরহাটের লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম, চাপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ ও নাচোল, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, কালাই ও জয়পুরহাট, নওগাঁর নওগাঁ ও নজিপুর, নাটোরের নলডাঙ্গা, গোপালপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম ও নাটোর, পাবনার চাটমোহর, সাঁথিয়া, সুজানগর, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, পাবনা ও ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর, সারিয়াকান্দি, সান্তাহার, কাহালু, ধুনট, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ ও বগুড়া, রাজশাহীর কাকনহাট, আড়ানী, মুণ্ডুমালা, কেশরহাট, গোদাগাড়ী, তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ, তানোয়ার, কাটাখালী, চারঘাট, দুর্গাপুর, নওহাটা ও পুঠিয়া, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, বেলকুচি ও কাজিপুর, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও বড়লেখা, সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ছাতক, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ও দিরাই এবং হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা।
ইসিতে পাঠানো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৩২৪টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ২৪৫টি পৌরসভা নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। এসব পৌরসভায় ভোটার রয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো তালিকা থেকে দেখা যায়, আগামী ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত ২৩৩টি পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে। এবং সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় ৩০টি পৌরসভা নির্বাচন অনুপযোগী রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১১ সালে ৩১৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৮৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ১২ জানুয়ারি ৭৭টি, ১৩ জানুয়ারি ৪৭টি, ১৭ জানুয়ারি ৪৫টি এবং ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হয়। আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের আগে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসি সূত্রে আরো জানা যায়, আগামী পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। যেখানে ২০১১ সালের এ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৩৬ কোটি টাকা। খবর-এনটিভি