Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

65খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার ৮ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপি ও জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে কাউকে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
“বিএনপি-জামাত থেকে যারা আমার দলে আসতে চায়, তাদের আমরা নেব না,” রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নেদারল্যান্ডসে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে গণভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ২০ হাজার নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। বলা হচ্ছে, কেবল জামায়াত থেকেই আওয়ামী লীগে ভিড়েছে ৫ হাজার জন।
ভিন্ন দল থেকে ভেড়ানোর জন্য নিজের দলের নেতাদেরই দায়ী করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
“গ্রুপিংয়ে দল ভারী করতে অনেকে নিয়ে নেয়,” বলেন শেখ হাসিনা।
দলীয় নেতাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “তারা (যোগদানকারী) আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অন্তঃদ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে।
“আওয়ামী লীগের লোক মারা গেলেই শুধু কোনো অসুবিধা নেই। তারা ভালো সেজে ঢুকেই হত্যা করে।”
আওয়ামী লীগে যত যোগদান
২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের রোকন নওশের আলী স্থানীয় যুবলীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের হাতে ফুল দিয়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন।
২০১৪ সালের মার্চের শুরুর দিকে পাবনায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের উপস্থিতিতে দুই শতাধিক কর্মীসহ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এক ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির।
গত বছরের এপ্রিলে ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর খান শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
চলতি বছরের ১২ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জামায়াত নেতা আফজাল হোসেন পিন্টু আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ জুন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুর উপস্থিতিতে পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতের মজলিসে শূরার সদস্য আব্দুস সালামের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতের ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেয়।
১০ এপ্রিল রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে উপজেলা জামায়াতের প্রাক্তন সেক্রেটারি এবং ভবানীগঞ্জ মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম শতাধিক সমর্থক নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
গত ২০ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সালথার উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান।
১৪ এপ্রিল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাংলা বর্ষবরণের এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
গত ২৪ মে নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
৯ মে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিএনপি নেত্রী ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রিনা হালিম এবং স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা শরীফ হোসাইনের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
৫ এপ্রিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি সাব্বিরুল হক তালুকদার শামীমের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
১৯ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএ নাসির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাউদ্দিনের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।