খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: প্রথম ম্যাচে খানিকটা ধীর-লয়ে হলেও স্বচ্ছন্দেই এগোচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। সিকান্দার রাজার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং-অনে ধরা পড়লেন লুক জঙ্গুয়ের হাতে। ৪০ রানে তামিমের তুষ্ট হওয়া কঠিনই। তবে বাঁহাতি ওপেনার চান সামনের ম্যাচের ইনিংসটা আরও বড় করতে।
দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে চান তামিম। তামিম মানছেন, থিতু হওয়ার পর অমন শট খেলা উচিত হয়নি। তবে তাঁর দাবি, লক্ষ্যটা ঠিকই ছিল। শুধু ভাবনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারেননি, ‘শটের ধরন খুব একটা ভালো ছিল না। ওই সময় সেট ছিলাম। উচিত ছিল আরও বেশি সময় ব্যাটিং করা। তবে যা চাচ্ছিলাম, সেটা ঠিক ছিল। প্রয়োগের প্রক্রিয়াটা ভুল ছিল। ইচ্ছে ছিল, কাভারের ওপর দিয়ে খেলার। কিন্তু বলটা ওই শট খেলার মতো ছিল না। যেটা মারা উচিত ছিল, সেটা মারিনি। আবার যেটা মারা উচিত ছিল না, সেটাই মেরেছি! ভুল হয়ে গেছে!’
বিশ্বকাপটা গেছে অম্ল-মধুর, তবে এমনিতে এ বছর দারুণ ছন্দে রয়েছেন তিন ধরনের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে বেশ কয়েকটি বড় ইনিংস। এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তো সেঞ্চুরি করলেন টানা দুটি, যার একটি ডাবল। গতকালও সুযোগ ছিল আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেওয়ার। পেছনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তামিমের চোখ এবার বড় ইনিংসে, ‘পরের ম্যাচে আমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। কাল ৪০ রান করেছিলাম। অবশ্যই বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করব।’
ব্যক্তিগত আক্ষেপ থাকলেও তামিমের সন্তুষ্টি অন্য জায়গায়। একজন রান না পেলে সে জায়গাটা আরেকজন পূরণ করে দিচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, নাসির রান না পেলেও ব্যাট হেসেছে মুশফিকুর রহিম-সাব্বির রহমানের। দলের জন্য এটা দারুণ ইতিবাচক, যদিও তামিম নিজের কাজটা সুচারুরূপে শেষ করে আসারই পক্ষে, ‘এরকম হলে দলের জন্য ভালো। তবে এটা আসলে ভাবা উচিত নয়। আমি ৪০ করে আউট হলাম। সাব্বির বা মুশফিক ভালো নাও খেলতে পারত। তখন কিন্তু প্রশ্ন অন্য রকম হতো। যে সময় যে সেট হয়, তার দায়িত্ব রানটা বড় করে ফেলা। এটা অন্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক না।’
সবাই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করবে, এমনটাই প্রত্যাশা তামিমের। আর সেটা হলে দলের জেতা সহজ হয়ে যায়। প্রথম ম্যাচে সেটাই হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় নিশ্চয়ই একই পথে হাঁটবে বাংলাদেশ।