খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশে অর্থনৈতিক উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পোদ্যোক্তাসহ শ্রমজীবি মানুষের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন উদ্যোগ (বি আইডিএস)’ শীর্ষক সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গল্প এখনও পুরোটা বলা হয়নি। এ গল্প বড় সাফল্যর গল্প। যেখানে অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পোদ্যোক্তাসহ শ্রমজীবিরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভূক্তিমূলক নানা কর্মসূচির বর্ননা দিয়ে গভর্নর আরো বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কেন্দ্রিয় ব্যাংক বহুমুখী কর্মসূচি চালু করেছে। যা বড় পরিসরে অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
তিনি জানান, অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নেয়া পদক্ষেপসমূহ কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে আতিউর রহমান বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ কর্মসূচি বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা ও মূল্য স্থিতিশীলতায় কৃষিতে সহায়তা, কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধনে এসএমই অর্থায়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় সবুজ অর্থায়নের মত কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে-পরিবেশসম্মত টেকসই উন্নয়নের লক্ষে আরো উন্নততর অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়ন কর্মসূচি চালু করা। ২০৩০ সালের মধ্যে অগ্রসরমান বাংলাদেশ বির্নিমানে আর্থ-সামাজিকভাবে অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বেসরকারী সংস্থার প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারী সংস্থাগুলো সহায়তা করছে বলে তিনি জানান।
সম্মেলনের পৃথক একটি সেশনে মুদ্রানীতির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আতিউর রহমান বলেন,বাংলাদেশ ব্যাংক অংশীদারিত্ব এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক মুদ্রানীতি প্রোগামস্ চালু রেখেছে। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাতে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এই সেশনে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপক্ষ পাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
পরে গভর্নর অর্থনীতিতে অসামাণ্য অবদান রাখায় অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।