খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০১৫: স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে শহীদ নূর হোসেনের আত্মহুতির দিনটিকে নানা কর্মসূচিতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় গুলিস্থানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয়।
সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা নূর হোসেন স্কয়ারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও অন্য সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
১৯৮৭ সালের এই দিনে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন শহীদ হন।
ওই দিন বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান লিখে রাজপথে বের হয়েছিলেন নূর হোসেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেদিন ঢাকার ‘জিরো পয়েন্ট’ অতিক্রম করার সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস আর গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় নূর হোসেন এবং যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিতে নিহত হন।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আরও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
অটোরিকশাচালক বাবার সন্তান নূর হোসেনের জন্ম ১৯৬১ সালে ঢাকার নারিন্দায়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে নূর হোসেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ছিলেন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।
‘নূর হোসেন দিবস’ উপলক্ষে সকাল থেকে আওয়ামী লীগের সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা তোলা হয়েছে। এছাড়া দোয়া, আলোচনা সভার কর্মসূচিও রেখেছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে যার শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন নূর হোসেন, সেই এরশাদের দলকে সাথে নিয়েই বর্তমানে সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ। সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছে এরশাদের জাতীয় পার্টি।
এরশাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধ হওয়াকে নূর হোসেনের পরিবার মেনে নিয়েছে ‘বাস্তবতা’ হিসেবে।