খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫: বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে সরকার ‘একদলীয়ভাবে’ স্থানীয় নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
পৌরসভা নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এই অভিযোগ করেন।
গত কিছু দিন ধরে গ্রেপ্তার অভিযান নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘রুটিন ওয়ার্ক’।
স্থানীয় নির্বাচন এতদিন ধরে নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধনের ফলে এখন দলীয় প্রতীকে হবে এই নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচন ডিসেম্বরে করার প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
রিপন বলেন, “সারাদেশে নতুন করে নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের মধ্যে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, সরকারদলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিতে চায়।”
বয়কটের পর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘একতরফা’ বললেও পরে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি।
রিপন বলেন, “আমরা বলতে চাই, তারা (সরকার) যদি ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গায়ের জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন জিততে চায়, তাহলে নির্বাচনের নামে প্রহসনের কী দরকার ছিল।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে বিভিন্ন স্থানে বিরোধী জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা ঘরে থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“এটা কী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হতে পারে। এই প্রশ্ন আমরা সরকারের কাছে রাখতে চাই।”
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’ করছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা
আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তিও দাবি করেন।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের লক্ষ্যে আইন সংশোধনে সংসদে উত্থাপিত বিলটি এখনও পড়ে দেখা হয়নি বলে জানান রিপন।
বিএনপি কি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংসদে বিলটি পাস হলে আমরা পর্যালোচনা করব। দলের চেয়ারপারসন স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সংবাদ সম্মেলনের রিপনের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ফরিদা ইয়াসমীন, মোস্তাফিজুল করীম ভুঁইয়া, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।