খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আমলের মতো এখনো বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগের ধারা অব্যাহত আছে। সংখ্যালঘু কেন কমে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে জাতীয় সংসদের কাছে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রানাদাশ গুপ্ত এ দাবি জানান। এ সময় তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু কমার কিছু চিত্র তুলে ধরেন।
রানাদাশ গুপ্ত বলেন, কমিশন কারণ খুঁজে বের করুক এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। তাঁর অভিযোগ, সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিষয়টি বিবেচনা করছে না। এটাই দুঃখের বিষয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ভেঙে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জিত হলেও সংখ্যালঘু জনজীবনের কাক্সিক্ষত পরিবর্তন ঘটেনি। সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত গতিতে চলছে। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও একই রকমের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রানাদাশ গুপ্ত বলেন, চলতি বছরের ৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা বলেছিলেন, তাঁরা ভালো নেই, শান্তিতে নেই, স্বস্তিতে নেই। বাস্তবিক অর্থে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাঁরা আরও উদ্বেগাকুল ও উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন। এ সময় তিনি সংখ্যালঘু হামলার কয়েকটি উদাহরণ টেনে বলেন, অব্যাহতভাবে ভয়ের সংস্কৃতি সংখ্যালঘুকে ক্রমাগত গ্রাস করে আশাহীন ও আস্থাহীন করে তুলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রত্যয়ে ও সমঅধিকার-সমমর্যাদার তাগিদে ৪ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে। ওই দিন বেলা একটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী’ মহাসমাবেশ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের দাবিনামা তুলে ধরা হবে।
অন্যান্যের মধ্যে ঐক্য পরিষদের নেতা নিমচন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ, সাবিত্রী ভট্টাচার্য, সুব্রত চৌধুরী ও পদ্মাবতী দেবী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।