Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

58খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: দেশে ঔষধ রফতানির চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশীয় চাহিদার ৯৭ শতাংশের বেশি ঔষধ স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে।
কয়েক বছর যাবৎ দেশের ৪৩টি ঔষধ কোম্পানি প্রস্তুতকৃত ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল রফতানি করছে। এ কোম্পানিগুলো শুধু ২০১৪ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ রফতানি হয়েছে ৭শ’১৪. ২০ কোটি টাকার।
যা ২০১৩ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৬শ’ ৩.৮৭ কোটি টাকার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে প্রস্তুতকৃত ঔষধের রফতানি বেড়েছে ১শ’ ১০. ৩৩ কোটি টাকা বেশি।
এদিকে ২০১৪ সালে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি হয়েছে ১৯. ০৭ কোটি টাকার। যা ২০১৩ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ১৬. ০৩ কোটি টাকার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি বেড়েছে ৩. ০১ কোটি টাকা বেশি।
আর ২০১৪ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল ৯২টি দেশে রফতানি হয়েছে। তা যা ২০১৩ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৮৭টি দেশে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, ২০১২ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ রফতানি হয়েছে ৫শ’ ৩৯. ৬২ কোটি টাকার। যা ২০১১ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৪শ’ ২১. ২২ কোটি টাকার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে প্রস্তুতকৃত ঔষধের রফতানি বেড়েছে ১শ’ ১৮. ৪ কোটি টাকা বেশি।
২০১২ সালে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি হয়েছে ১১. ৬০ কোটি টাকার। যা ২০১১ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৪. ৯৩ কোটি টাকার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি বেড়েছে ৬. ৬৭ কোটি টাকা বেশি।
আর ২০১২ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল ৮৭টি দেশে রফতানি হয়েছে। তা যা ২০১১ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৮৭টি দেশে।
এদিকে ২০১০ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ রফতানি হয়েছে ৩শ’ ২৭. ৪৩ কোটি টাকার। যা ২০০৯ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৩শ’ ৩৫. ২১ কোটি টাকার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে প্রস্তুতকৃত ঔষধের রফতানি কমেছে ৭. ৭৮ কোটি টাকা বেশি।
আর ২০১০ সালে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি হয়েছে ৫. ১২ কোটি টাকার। যা ২০০৯ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ১১. ৯৬ কোটি টাকার।
অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে ঔষধের কাঁচামাল রফতানি কমেছে ৬. ৮৪ কোটি টাকা বেশি। আর ২০১০ সালে প্রস্তুতকৃত ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল ৮৪টি দেশে রফতানি হয়েছে। তা যা ২০০৯ সালের একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৭৩টি দেশে।
ঔষধ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দেশে বর্তমানে মাত্র ৩ শতাংশ ঔষধ আমদানি করতে হয়। আর বিশ্বের ৯৭টি দেশে বাংলাদেশের প্রস্তুতকৃত ঔষধ রফতানি হয়। বর্তমানে প্রায় ৫হাজার ৫শ’ কোটি টাকার ঔষধ দেশে তৈরি হচ্ছে।
আগামী দশ বছরে বর্তমানের ৩ হাজার ৩শ’ কোটি ডলারের রপ্তানি রাজস্বকে ৭ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করার পথে ঔষধ শিল্পের রপ্তানির সম্ভাবনা ইতোমধ্যে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য বছরে প্রায় ২শ’ বিলিয়ন টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে। বছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যাল, প্রোডাক্ট রপ্তানি করা সম্ভব।
এপিআই (অপঃরাব চযধৎসধ ঈবঁঃরপধষ ওহমৎবফবহঃং) পার্ক স্থাপন করতে পারলে ঔষধ শিল্পের কাঁচামালের জন্য আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসবে। মানসম্মত উন্নতমানের ঔষধ ও ঔষধ সামগ্রী রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।