খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ন্যু ক্যাম্পে খেলা হচ্ছে, কিন্তু মাঠে নেই লিওনেল মেসি। এমন দৃশ্য দেখে এখন খানিকটা অভ্যস্তই হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। লা পালমাসের বিপক্ষে লিগের খেলায় চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছিল এই আর্জেন্টাইনকে। এরপর থেকে মেসিকে ছাড়াই মাঠে নামছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। এমনকি ‘এল ক্লাসিকো’তেও মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। বাতাসে নতুন যে গুঞ্জন উড়ছে তা যদি সত্য হয়েই যায় তবে কিন্তু নিয়মিত এ দৃশ্য দেখার জন্য মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়া উচিত বার্সেলোনার। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় নাকি ঠিকানা পরিবর্তনের চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন!
ঝামেলাটা শুরু হয়েছিল করের ঝামেলা দিয়ে। ত্রিশ লাখ ইউরো কর নিয়ে নাকি জালিয়াতি করেছিলেন মেসির বাবা। ছেলের আয় থেকে করের এই পরিমাণ অর্থ বাঁচাতে আয়ের উৎস হিসেবে উরুগুয়েকে দেখিয়েছিলেন। সামান্য এই ঝামেলা এখন এত ঘোঁট পাকিয়েছে, মেসি এখন স্পেন ছাড়ার চিন্তা ভাবনাই শুরু করে দিয়েছেন। আর এমন সংবাদে নড়ে চড়ে বসেছে ইউরোপের সব ফুটবলের পরাশক্তিরা। মেসিকে পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অনেকগুলো দল।
আগ্রহী ক্লাবগুলোর তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে চমকে ওঠা এক ক্লাবের নাম, চেলসি! সুখ্যাত বাজিকর প্রতিষ্ঠান স্কাই বেট মেসির বিভিন্ন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বাজি ধরেছে। সেই বাজিতে এগিয়ে আছে লন্ডনের ক্লাব চেলসিই। তাদের পক্ষে বাজির দর ৮/১। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে লন্ডনেরই আরেক ক্লাব আর্সেনাল। তাদের পক্ষে বাজির দর দেখা যাচ্ছে ১২/১। আর পেট্রো ডলারে বলীয়ান ম্যানচেস্টার সিটি মেসিকে দলে তানার সম্ভাবনায় আছে তৃতীয় স্থানে ১৮/১ বাজির দর নিয়ে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অনেকটাই পিছিয়ে আছে ১৮/১ দর নিয়ে। বাজির দরে এরপরেই আছে বায়ার্ন মিউনিখ (২০/১), প্যারিস সেন্ট জার্মেই (২২/১), জুভেন্টাস (২৫/১)।
বাজির দরে চেলসির এমন এগিয়ে থাকার পেছনে মেসির নিজেরই অবদান আছে। এই জানুয়ারিতেই চেলসির অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে অনুসরণ করা শুরু করেছিলেন মেসি। তারপরই আবার চেলসির বিভিন্ন খেলোয়াড়কে অনুসরণ করে গুঞ্জনের পালে হাওয়াটা বেশ জোড়ে শোরেই দিয়েছিলেন। চেলসিতে খেলছেন মেসির খুব কাছের বন্ধু সেস ফ্যাব্রিগাসও।
কিন্তু এগুলোর কোনোটাই চেলসিকে মেসির পরবর্তী ঠিকানা হওয়ার জোরদার কারণ বলা যায় না। আসলে মেসিকে বার্সা থেকে কিনে আনতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়টির বেতন জোগানোর সাধ্য চেলসিরই আছে। যদিও খেলার ধরন অনুযায়ী চেলসি আর মেসি ঠিক মানায় না। দেখা যাক কী হয়