Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: তাঁর মোদী প্রীতির কথা সকলেরই জানা। এই নিয়ে তিনি একটি ছোট ছবিও বানিয়েছেন। সেন্সর বোর্ডের চেয়ারে বসার পর থেকেই বিতর্কের অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের পহলাজ নিহলানি। মন্তব্য থেকে নানা কার্যকলাপ তাঁকে বারবার তুলে নিয়ে এসেছে খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি জেমস বন্ডের সিনেমা ‘স্পেক্টার’-এ এখটি চুম্বর দৃশ্য কেটে দেওয়া নিয়ে ফের একবার খবরে নিহলানি। এর স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক নিহলানি।
তিনি বলেন, ‘গত চেয়ারম্যানের আমলে বন্ড মুভির কোনও চুম্বন দৃশ্য ছাড় পায়নি। সব কেটে দেওয়া হয়েছিল। তখন তো এই সংস্কারি বন্ড নিয়ে এত হইচই হয়নি। স্পেক্টার-এ দৃশ্যটি রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র সময়টিকে কমানো হয়েছে।’ তবে চুমু তো চুমুই। সেটা এক মিনিটের হোক বা ২০ সেকেন্ডের। সাংবাদিকদের মুখে এ কথা শোনার পর রাগে ফেটে পড়েন নিহলানি। তিনি বলেন, ‘আপনারা কি দরজা খুলে সেক্স করেন? লোকজনকে দেখান?’ শারীরিক মিলনের সঙ্গে চুমু-র পার্থক্যের কথায় বিরক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
এর আগেও সিনেমায় বিভিন্ন ‘কু’ শব্দ ব্যান করা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেন তিনি। পরে অবশ্য সেটি তুলে নিতে বাধ্য হন। প্রসঙ্গ টেনে এনে নিহলানি বলেন, ‘ওটা এক বোর্ড মেম্বারের অপপ্রচার। ঘরের ভিতরকা কথা বাইরে বলেছেন তিনি।’ তবে যখন তাঁকে বলা হয়, তিনি খোদ সেই নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন, তখন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। এমনকী সাংবাদিককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও পিছপা হননি তিনি। ১৯৯৪ সালে নিহলানি নির্মিত ছবি ‘আন্দাজ’-এর একটি গান প্রসঙ্গেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। সে ক্ষেত্রে তাঁর সাফাই ছিল ‘ওটা আমার স্বাধানতা ছিল। আমার ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন।’ তবে অন্যান্য ছবির পরিচালক এবং নির্মাতাদের ক্ষেত্রে সেই ‘ফ্রিডম’ থাকছে কি? উত্তর দেননি তিনি।