Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরুর প্রথম কর্মসূচি পালন করে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান বীরউত্তম কে এম সফিউল্লাহ।
মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ডিসেম্বর: বিজয়গাথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
সফিউল্লাহ বলেন, “দেশে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুতে পাকিস্তান যে ধরনের উদ্বেগ, বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে, এরপর দেশটির সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখাই উচিত নয়।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান এই সেক্টর কমান্ডার।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এ দেশ কখনও পরাজিত হওয়ার নয়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। দেশবিরোধীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।”
একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের কথা স্মরণ করে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থা খুব করুণ ও শোচনীয় হয়ে পড়ে। চারদিকে মুক্তিসেনারা পাকিস্তানিদের পরাজিত করতে থাকে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের বিবৃতি, প্রতিবাদ একটি স্বাধীন দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ। এরপর পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার আর কোনো সুযোগ নেই।”
একাত্তরে গণহত্যা এবং এখন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য জাতিসংঘে পাকিস্তানের সদস্য পদ বাতিলের দাবি তোলার আহ্বানও সরকারকে জানান তিনি।
“পাকিস্তানের অবস্থান সার্কের চেতনারও পরিপন্থি। পাকিস্তানকে সার্ক থেকেও বহিষ্কার করতে হবে।”
ডিসেম্বর মাসকে একই সঙ্গে ‘আনন্দ ও বেদনার মাস’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ মাসে আমরা যেমন বিজয় অর্জন করেছি। ঠিক তেমনি করে বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হারিয়েছি।”
অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতা সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুনুর রশীদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ কে এম আলী শিকদার, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সও বক্তব্য রাখেন।
রাত সাড়ে ১০টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রাত ১২টা ১ মিনিটে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতারা তরুণ প্রজন্মের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। এরপর মশাল প্রজ্জ্বলন করে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে তারা বিজয়ের মাসকে বরণ করে।