খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রতিষ্ঠার সময় অনুযায়ী ক্রম ঠিক করে টেলিভিশন চ্যানেল প্রদর্শনে কেবল অপারেটরদের নির্দেশনা দেবে সরকার।
অর্থাৎ, যে টেলিভিশন চ্যানেল সবার আগে সম্প্রচারে এসেছে, সেটি থাকবে এক নম্বরে। এরপর প্রতিষ্ঠার ক্রম অনুযায়ী টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্রম নির্ধারিত হবে।
বুধবার সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সরকারের দুই মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিকমত নেই, বিদেশি চ্যানেল আগে দেখায়।
“দেশের কোনো কোনো চ্যানেল আগে, আবার আগে প্রতিষ্ঠিত অনেক চ্যানেলই পরে আসে, এটা ঠিক না। আমরা সিরিয়াল ঠিক করে দেব।”
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৩টি বেসরকারি টেলিভিশনের সরকারি অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি টেলিভিশনের লাইসেন্স স্থগিত; সম্প্রচারে আছে ২৪টি।
বর্তমানে কেবল অপারেটররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টিভি চ্যানেলের ক্রম নির্ধারণ করে সম্প্রচার করছেন। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরখানেক ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনকে রাখা হচ্ছে এক নম্বরে।
তোফায়েল বলেন, “যে চ্যানেল যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই সময় অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল ঠিক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে। আমরা তা কেবল অপারেটরদের জানাব। তাদের এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে।”
এই নির্দেশনা না মানলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যালেনগুলো কীভাবে প্রদর্শন করা হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, “ভারতে আমাদের চ্যানেলগুলো প্রচার করতে চাই, পরে এ নিয়ে বসে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেব।”
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশি চ্যানেল পরে প্রদর্শিত হবে। অনেক কেবল অপারেটর এটা মানে না, যা দুঃখজনক।”
সরকার নির্ধারিত ক্রম অনুযায়ী অপারেটররা টিভি চ্যানেল না দেখালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রীও হুঁশিয়ার করেন।
কেবল অপারেটরদের পাইরেটেড চলচ্চিত্র না দেখানোরও আহ্বান জানান ইনু।
তিনি বলেন, “কোনোভাবেই চুরি করা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই মন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।