Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: শুধু প্রাথমিকের নয়, বিনামূল্যের নতুন বই নিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেরও শুক্রবার স্কুলে যেতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে এক সভায় ২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ জানুয়ারি শুক্রবার পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একদিন আগেই জানিয়েছিল, ১ জানুয়ারি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবে তারা।
১ জানুয়ারি শুক্রবার হওয়ায় সেদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আনতে প্রথমে চাননি শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ। তবে তিনি বলেছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে একদিনেই পাঠ্যপুস্তক উৎসব করা হবে।
বুধবার বৈঠকের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, শুক্রবার সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হবে। এজন্য মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওই দিন খোলা থাকবে।
উপ-সচিব জানান, ১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় রাজধানীর সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুল প্রাঙ্গণে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বই উৎসব আয়োজনের কথা ছিল।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উৎসবের সময় সকাল ১০টায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার এক ঘণ্টা আগে তাদের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের সময় নির্ধারণ করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ১০টায় মিরপুরের ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন।
তার আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ কোটি নতুন বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
পাঠ্যপুস্তক হাতে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের এই ছবি গত বারের। পাঠ্যপুস্তক হাতে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের এই ছবি গত বারের। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বর্ণিল আয়োজনে একই স্থানে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হচ্ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে। অন্যদিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের দায়িত্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, প্রচারে প্রাধান্য পেতে এবার বন্ধের দিন শুক্রবার এই উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেয় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হলে তাদের কর্মতৎপরতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রচারের আড়ালে হারিয়ে যায়।
দুই মন্ত্রণালয়ের আলাদা উৎসব পালনের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বুধবার জরুরি সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “১ জানুয়ারি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করলে পরের দিন একই ধরনের উৎসবে ভাটা পড়বে-তা ধরে নিয়েই আমরা বই বিতরণের দিন একদিন এগিয়ে এনেছি।