খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : জরুার-৩১-১আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাস অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাস অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তীব্রতম করা হয়েছে সন্ত্রাস। ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারে লিপ্ত মাইক ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পথসভার স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে মুখোশ পরে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ও তার কর্মীদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা বা হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন পৌর এলাকায় শাসকদলের নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন-যে কেন্দ্রই ভোট গ্রহণ করা হোক না কেন, গণনা হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক ভীতি সৃষ্টি করার জন্য নানান ধরণের হুমকি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তাও বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছি-রাজধানীর বেশ কয়েকটি পেশাদার সন্ত্রাসী গ্রুপ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ভাড়ায় নিয়োজিত হয়েছে। সংবাদপত্রে এমনও খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, জেলখানায় বসে কোন কোন সন্ত্রাসী চুক্তি করছে আওয়ামী মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে।
নির্বাচন কমিশন সরকারের আদরের দুলালের ন্যায় ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের নির্লিপ্ত আত্মার বন্ধন মোচন করতে পারছে না। যার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে রক্তঝরা সন্ত্রাস-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধ করতে পারছে না।
বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গুনধর এমপি-মন্ত্রীদের দৌরাত্বে ভোট ডাকাতির আরো বেশী যশবৃদ্ধি হবে বলে জনমনে আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়ে চিড়া ভেজাতে চেয়েছেন কিন্তু চিড়া ভিজছে না। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্দেশনা মানছেন না ওসি/ডিসিরা। কারন সরকারের সন্ত্রাসীদের তান্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্ব না করার জন্য এবং প্রশাসন যন্ত্রকে নিরপেক্ষ রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে আস্থা সৃষ্টি করুন। ভোট্রে দিন নির্বাচনী কেন্দ্রেৃবিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ভোটাররা যাতে তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারে তার গ্যারান্টি দিতে হবে। অন্যথায় মীর জাফরের মতো বিশ্বাসঘাতকতার তকমা সূদীর্ঘকাল ধরে বয়ে বেড়াতে হবে।