Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

68খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ঋণ গ্রহীতাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে তাদের একটি আলাদা তথ্যভাণ্ডার গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এজন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি মাসে তাদের ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি পরিমাণ ঋণের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, একটি বড় ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য কখনও কখনও বোঝা হতে পারে, যা পুরো খাতকে বকায়দায় ফেলে। ঋণের একটি অংশ মন্দ বা কু ঋণে পরিণত হয়, যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। এজন্য আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাতে এই তথ্যভাণ্ডার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বড় ঋণ গ্রহীতাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর জন্যও এ উদ্যোগ জানিয়ে সার্কুলারে বলা হয়, গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্যাংকে বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে পরিদর্শন কার্যক্রমে নতুন পদ্ধতি আনার পাশাপাশি পরিদর্শন ব্যবস্থা আরও জোরাল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ বড় ঋণের তদারক করে। তবে সেখানে শুধু একটি ব্যাংকে একক ব্যক্তি বা গ্রুপের কতো ঋণ আছে- তা তদারক করা হয়। এখন পুরো ব্যাংক খাতের ঋণের তথ্য নিয়ে তদারক করা হবে। ফলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঋণ এক দিনের মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও তা জানা যাবে।
বর্তমানে ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ না হলে এক ব্যাংকের গ্রাহক সম্পর্কে অন্য ব্যাংক জানতে পারে না। কোনো গ্রাহকের ঋণ ৬০ দিনের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ শ্রেণিকরণ বিবরণীতে তা পাঠাতে হয়।
বৃহস্পতিবারের সার্কুলার অনুযায়ী নিয়মিত ঋণ তিন ভাগে বিভক্ত করে রিপোর্ট করতে হবে।
প্রথমভাগে একেবারে নিয়মিত ঋণের তথ্য দিতে হবে। সেখানে এ ঋণ এর আগে একবারও নবায়ন, পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন হয়েছে কিনা- তা উল্লেখ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ১-২৯ দিনের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের তথ্য দিতে হবে। তৃতীয়ত, ৩০-৫৯ দিনের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের তথ্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকের সব তথ্য পর্যালোচনা করে অন্য যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা জানাবে। প্রাথমিকভাবে শুধু ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের বিষয়ে তদারক করা হলেও পর্যায়ক্রমে আরও কম ঋণের ক্ষেত্রেও এ ব্যবস্থা চালু হবে।