খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: একে বলা যায় মধুরণ সমাপয়েত। মধুর সমাপ্তী। কিভাবে হলো?
একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হলো লাহোরের ক্যাম্পে। সেখানে মোহাম্মদ আমির অঝোর কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন। তারপর বললেন, তাকে যদি কেউ না চায় তাহলে তিনি ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন। এমনকি খেলাও ছেড়ে দিতে পারেন। তাতেই কাজ হলো। মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলীরাও বুকে টেনে নিলেন আমিরকে। এর সাথে শেষ হলো পাকিস্তানের ফিটনেস ক্যাম্পে আমিরকে নিয়ে তৈরি হওয়া অস্বস্তি।
জানাই ছিল রবিবার ক্যাম্পে যোগ দেবেন আজহার ও হাফিজ। দুজনে এতদিন আমিরের কারণে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেননি। তারা বলেছিলেন, স্পট ফিক্সিং পাপী আমির থাকলে তারা ক্যাম্পে যোগ দেবেন না। পরে ক্রিকেট বোর্ড প্রধান তাদের রাজি করান।
পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিস ও প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ রবিবার ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের মিটিং ডাকলেন। আমির সেখানে বললেন, অন্যরা যদি মনে করে পাকিস্তান দলে তার খেলার যোগ্যতা নেই তাহলে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন। পাকিস্তানের একটি সূত্র ঘটনাটা জানাচ্ছে এভাবে, “খুবই আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। কারণ আমিরের জানা ছিল তার কারণেই ক্যাম্পে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। আর মিটিংয়ে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সে বলে, যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখিত সে। মিটিংয়ে আবার সবার কাছে ক্ষমা চায়।” তারপর?
সূত্রটি জানাচ্ছে, “এরপর সে বলে কেউ যদি মনে করে আরেকটি সুযোগ তার প্রাপ্য না তাহলে ক্যাম্প ছেড়ে সোজা চলে যাবে। কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেটের স্পিরিট ও একতায় আর বিভক্তি চায় না সে।” সূত্রটি জানায় এদিন ক্যাম্পে আজহার ও হাফিজ একটু দেরীতে এলেন। তবে তারা মিটিংয়ে হাজির হয়ে আমিরের মুখোমুখি হলেন। আর তখন আমির তাদেরও বললেন ক্ষমা করে দিতে। “হাফিজও আবেগী হয়ে ওঠে। সে আমিরকে জড়িয়ে ধরে এবং বলে যে সব ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে-” বলেছে সূত্রটি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তো স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানো আমির সতীর্থদের ক্ষমা পেলেন। পাকিস্তান বোর্ডও পেলো বড় স্বস্তি। তবে ভবিষ্যতে এরকম সমস্যা এড়াতে চুক্তির খেলোয়াড়দের দিয়ে একটি ডকুমেন্টে সই করিয়েছে বোর্ড। সেখানে একটি অধ্যায়ে বলা আছে, আমির বা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানো আর কারো সাথে খেলতে কোনো খেলোয়াড়ের আপত্তি থাকবে না। এটি সই করিয়ে আইনগত দিক দিয়ে বোর্ড শক্ত অবস্থানে চলে গেলো। কারণ, এই শর্ত ভঙ্গ করা খেলোয়াড়কে ২০ লাখ রুপি জরিমানা করতে পারবে তারা।