খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী- এমন অশালীন মন্তব্য করে চাপের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন আসামের কংগ্রেস বিধায়ক নীলমণিসেন ডেকা।
রবিবার আসামের নলবাড়ীতে কংগ্রেসের এক জনসভায় বিধায়ক নীলমণিসেন ডেকা বলেছিলেন, ‘সেই মহিলা, সেই নেতা যাকে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অভিহিত করা হয়, সেই স্মৃতি ইরানী নলবাড়ি আসছেন।
একই দিন কংগ্রেসের সংসদীয় রুপজ্যোতি কুর্মিও মোদিকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারতের মহিলা দুর থেকে নমস্কার করে মোদিকে। কিন্তু বিদেশ গেলেই সব বদলে যায়। বিদেশি মহিলাদের আলিঙ্গন করতে ভালবাসেন মোদি।
আসামে সামনেই নির্বাচন। তার জন্য চলতি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের মধ্যে রাজ্যের পাঁচটি জায়গায় কেন্দ্রের পাঁচ মন্ত্রীকে দিয়ে সভা করানোর কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। রবিবার সুষমা স্বরাজ বরাকে সভা করার পরে আজ নলবাড়ি যাচ্ছেন স্মৃতি ইরানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৯ জানুয়ারি আসামে যাওয়ার কথা।
এমন সময় আসামের কংগ্রেস বিধায়ক নীলমণি ও রুপজ্যোতি কুর্মিওর বিতর্কিত বক্তব্যে বেকায়দা পড়েছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে রাজনৈতিক পরিবেশ। তাদের ওই মন্তব্য টিভিতে সম্প্রচারিত হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “হারের ভয়ে এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেস। এ ধরনের মন্তব্য কংগ্রেসের নিম্ন রুচির পরিচয়। এক জন প্রবীণ বিধায়কের মুখে এমন কথা আসামের সংস্কৃতির পরিপš’ী।”
এদিকে এ মন্তব্যের পরপরই বিজেপি কর্মীরা রবিবার রাতেই রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর, গুয়াহাটির রাজীব ভবন ঘেরাও করেন। বিভিন্ন জায়গায় নীলমণি ও কংগ্রেসের কুশপুতুল পোড়ানো শুরু হয়। বিপদ বুঝে নীলমণি ও কুর্মির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে কংগ্রেস।
দলীয় মুখপাত্র রিপুন বরা বলেন, “ওই মন্তব্যগুলি ওঁদের ব্যক্তিগত মত। দল এই ধরনের মন্তব্য ও মনোভাবকে সমর্থন করে না। ওই দু’জনের মন্তব্যের দায় দল নেবে না।”
বিজেপির দাবি, অবিলম্বে ডেকা ও কুর্মিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। বিপাকে পড়ে নীলমণি বলেন, “আমি যা বলেছি নিছকই মজা করে বলেছি। ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইছি। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।”