Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

25খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) পরিচালনায় একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, নতুন এই আইনের আওতায় বিএনসিসি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে।
“১৯৫০ সালের একটি আইনের আলোকে বিএনসিসি চলছিল। কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন ছিল না, তাই নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় একে আইনি কাঠামোতে এনে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে এ আইন করা হচ্ছে।”
শফিউল বলেন, বিশেষ করে ছাত্রদের নিয়ে গঠিত এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির জন্য অধিদপ্তর গঠনের পর তা কীভাবে পরিচালিত হবে- সে বিষয়ে খসড়ায় বিস্তারিত বলা হয়েছে।
ঢাকার বিএনসিসি অধিদপ্তর হবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আইন হলে ঢাকার বাইরে অধিদপ্তরের এক বা একাধিক শাধা প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। জনবল কাঠামো সরকার অনুমোদন দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিএনসিসিতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সংযুক্ত বা প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা যদি শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেন, তবে নিজ বাহিনীর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনসিসিতে যুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে অধিদপ্তর বা কোরের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কোনো সদস্য শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে কোরের বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বিএনসিসিতে যুক্ত জনপ্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ ও থ্যাইল্যান্ডের মধ্যে পর্যটন বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম জানান, পর্যটনকে গতিশীল করতে বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা হবে, সেসব দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় হবে।