খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপের সাগর তলায় লুকিয়ে আছে ৫ হাজার বছরের পুরোনো পিরামিড। আর এর পাশেই শুয়ে আছে মিসরের গিজার আদলে তৈরি বিশালাকার মূর্তি স্ফিংস। দেশটির মেরিন জিওলজিস্ট বিভাগের বরাত দিয়ে এমন অবাক করা তথ্য জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ১৯৮৬ সালে ইয়োনাগুনি দ্বীপের উপকূলে প্রাকৃতিকভাবেই লুকিয়ে থাকা রহস্যময় পাথর চোখে পড়ে এক ডাইভারের। এরপর সমুদ্রের গভীরে ধাপে ধাপে নেমে যাওয়া পাথর অনুসরণ করে তিনি দেখতে পান ৮২ ফিট উঁচু এক পিরামিড। তারপর থেকেই মেরিন জিওলজিস্টদের নজরে জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপ।
এরপর ওই পাথর ও স্থাপত্য পরীক্ষা করে নৃবিজ্ঞানী ও ঐতিহাসিকরা জানান, এই স্থাপত্য ৫ হাজার বছরের পুরোনো।
কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও জাপানি উপকথা অনুযায়ী হাফিংটন পোস্ট জানায়, এককালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ছিল ‘মু’ সভ্যতা । ২০০০ বছর আগে ভূমিকম্পে যা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্রে ।
পরবর্তী সময়ে ১৭৭১ সালে এই অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ভয়ঙ্কর সুনামি । পৃথিবীর ইতিহাসে বিস্ময় সৃষ্টিকারী সুনামির মধ্যে এটি ভয়ঙ্করতম। এ সময় প্রায় ১৩১ ফিট অবধি উঁচু হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের ঢেউ। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রলংকরী ওই সুনামিতেই হয়তো সাগরের নিচে চলে যায় মু সভ্যতা এবং এর সব নিদর্শন।
তবে আছে ভিন্নমতও। নৃবিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রকৃতির খেয়ালে বিভিন্ন শতাব্দীতে একে একে পানির তলায় চলে গেছে প্রাসাদূ মন্দিরূ স্টেডিয়ামূ রাজপথ। তবে একদল বিজ্ঞানীর মতূ ওই শিলারাশি মানুষের তৈরি নয় বরং প্রাকৃতিক।
তবে এই পিরামিড আর স্ফিংসয়ের পরিচয় জানতে জাপান সরকারের কেমন যেন অনীহাই আছে। জাপানের প্রতœতাত্বিক বিভাগের সূত্রে হাফিংটন পোস্ট জানায়, এই স্থাপনাগুলোর রহস্য উদঘাটনে কোনো অনুসন্ধান চালায়নি জাপান। ফলে মানুষ না প্রকৃতি, কে তৈরি করেছে এ বিস্ময়— তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।