খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াবে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এতে সরকারের দক্ষতা শতভাগ বেড়ে যাবে বলেও আশা তার।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় ই-ফাইলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন তিনি। তিন দিনব্যাপী কোর্সটি বৃহস্পতিবার শেষ হবে। ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়ার সূত্র ধরেই আজ ই-ফাইলিং উদ্যোগ। জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করবে এটি। ফাইলের স্তুপ নিয়ে আর ঘোরা লাগবে না। সরকারের সঙ্গে সাধারণ জনগনের দূরত্বও কমাবে এটি।
মন্ত্রী বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, ব্যাকআপ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা লাগবে, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না হারায়। প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনবল। তাই এ প্রশিক্ষণ। প্রতি ৬ মাস অন্তর নিজেদের হালনাগাদ করবেন আপনারা। নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন আপনারা।
মন্ত্রী বলেন, এটি এখন ক্ষেত্র বিশেষের বিজ্ঞান নয়, সার্বজনীন বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে কাজ চালানো যায় এ সুবিধা নিয়ে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। নথিভুক্ত করা, নথি ট্রান্সফার করা- এসব শিখবেন প্রথমে। এটি যেন একটি স্বচ্ছ কাচের ঘর। যেখানে সরকার, জনগণসহ সব থাকবে- বলেন তথ্যমন্ত্রী। সরকারের দক্ষতা শতভাগ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের পর এখন চলছে তথ্য বিপ্লব। কম্পিউটার মাউসের এক টোকার অনেক ক্ষমতা এখন। আজ আপনারা প্রশিক্ষণ নেবেন, তিন বছর পরে সাধারণ জনগণও অনলাইনে সেবা নিতে শিখবে- বলেন ইনু। তিনি বলেন, বড় নথি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন, সেটি শিখবেন। এরপরের প্রজন্ম আসবে ইন্টারনেট ও কম্পিউটারে দক্ষতা নিয়ে। লজ্জা না পেয়ে শিখুন, না বুঝলে প্রশ্ন করুন। আপনারা প্রশিক্ষিত হলে সবাই লাভবান হবে। ই-ফাইলিং সরকারকে জনগণের জবাবদিহিতার আরও কাছে নিয়ে আসবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।