খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: ঢাকায় খ্রিস্টীয় নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে বলে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জঙ্গি হামলা’ এবং তৎপরতার খবর মেলার মধ্যে নতুন বছর শুরুর দুই দিন আগে পশ্চিমা দেশটির এই সতর্কবার্তা এল।
মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই সতর্কবার্তা দেওয়ার পর তা নিজ দেশের সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাজ্যও।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও বিভিন্ন সময় তার দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেই ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আসছিল।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের আগেও এই ধরনের একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও তার সত্যতা মেলেনি বলে বাংলাদেশ সরকারের দাবি।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ওই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল বলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট দাবি করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তখন বলেছিলেন বলেন, আশঙ্কার বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি ‘সবচেয়ে কম’ বলে কয়েকদিন আগেই দাবি করেন মন্ত্রী। তার মধ্যেই পশ্চিমাদের এই সতর্কবার্তা এল।
বাংলাদেশে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের অনুষ্ঠান রাজধানীতে মূলত অভিজাত হোটেল ও ক্লাবগুলোতে হয়ে থাকে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তরুণ-তরুণীরা বর্ষবরণের আনন্দে মাতেন।
হোটেল ও ক্লাবগুলোতে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গুলশানে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পর কূটনীতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করে বাংলাদেশে সরকার। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গুলশান, বারিধারা, বনানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দাদেরও রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করেছে পুলিশ।
সন্ধ্যার পর বর্ষবরণের কোনো অনুষ্ঠান না রাখতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছেন।