খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: ঢাকার সাভার পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর শীত আর কুয়াশার মধ্যে প্রথম দুই ঘণ্টায় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা বেড়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেলেও সাভারের ৮০টি কেন্দ্রে বেলা ১২টা র্পর্যন্ত কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের নারীদের অংশে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের পোলিং এজেন্ট জিন্নাত রেহানা বলেন, “আমরা কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই কাজ করতে পারছি।”
কেন্দ্রের এই অংশে ছয়টি বুথে প্রায় তিন হাজার নারী ভোটার রয়েছেন। আর পাশের পুরুষ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ২৩০৬ জন ভোটার রয়েছেন বলে প্রিজাইডিং অফিসার শামীমুজ্জামান জানান।
নারী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খন্দকার শওকত আলী বলেন, “ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হলেও সকালে কুয়াশা থাকায় ভোটারের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ছে। ভোটররা নির্বিঘেœ ভোট দিতে আসছেন।”
সাভারের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে সরকার সমর্থকদের উপস্থিতি দেখা গেলেও, অন্য দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তেমনভাবে চোখে পড়েনি।
সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে সকালে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম পলাশকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাজী আবদুল গণির ছবি সম্বলিত কার্ড গলায় ঝুলিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। তার সঙ্গে আর কিছু নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন।
কিছু সময় পর সেখানে আসেন কাউন্সিল পদপ্রার্থী মো. মশিউর রহমান খানের সমর্থক তরিকুল ইসলামসহ কয়েকজন তরুণ। তারা জানান, তাদের প্রার্থীও আওয়ামী লীগ সমর্থক।
স্থানীয় চা বিক্রেতা কালাম বলেন, “নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর লোক মাঠে নাই। পুরা এলাকা নৌকার ব্যানার পোস্টারে ভইরা গ্যাছে।”
সিরাজউদ্দিন বাবু নামের এক ভোটার বলেন, “সুষ্ঠভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। সকালে লোক কম থাকে বলে আগে এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছি।”
সাভার রেডিও কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাঈদুর রহমান জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কেন্দ্রেও ভোটারের উপস্থিতি বাড়ছে।
ওই কেন্দ্রে বিএনপি কোনো পোলিং এজেন্ট দেওয়ার জন্য আবেদন করেনি বলে জানান তিনি।
রেডিও কলোনি কেন্দ্রে কথা হয় ভোট দিতে আসা গৃহবধূ রহিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, অসুস্থ থাকলেও তিনি ভোট দিতে এসেছেন।
সাভার পৌরসভা এলাকায় ভোটের দায়িত্বে থাকা র্যা ব-৪ এর সিনিয়র এএসপি রুহুল কবির বলেন, “সকাল থেকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কেউ ঘটাতে চাইলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।