Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

26খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: যৌনদাসী ব্যবহারের নিয়ম ব্যাখ্যা করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক ফতোয়া জারি সংক্রান্ত দলিলপত্র হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাদের এ ফতোয়ায় মালিকরা কে, কখন এবং কিভাবে তাদের অধীনস্ত যৌনদাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে- তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা আছে।
চলতি বছরের মে মাসে সিরিয়াতে আইএসের শীর্ষ কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশেষ অভিযানের পর সেখানে পাওয়া দলিলপত্রের মধ্যে ফতোয়া সংক্রান্ত এসব কাগজপত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এসব দলিলপত্র এর আগে প্রকাশ করেনি জঙ্গি সংগঠনটি।
তাদের ফতোয়া অনুসারে, একই যৌনদাসীর সাথে পিতা এবং পুত্র উভয়েই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। তবে মা এবং মেয়ে দুইজনেই একজনের যৌনদাসী হলে মালিক তাদের উভয়ের সাথেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
এছাড়া, দাসীদের যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে উভয়েই সমান সুযোগ ভোগ করবে। এক্ষেত্রে বন্দি ওই নারীকে দুইজনের যৌথ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তাদের এক ফতোয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, আগে থেকেই স্বীকৃতি দিয়ে আসা যৌন দাসত্বের ব্যাপারে তাদের এ ফতোয়া মেনে চলা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক।
ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী এবং কিশোরীকে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে আইএসকে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্ত করে আসছে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। এদের অনেককেই আইএস যুদ্ধ জয়ের উপহার হিসেবে তার সেনাদের প্রদান করেছে।
এ ধরনের একটি বিষয় লুকানোর পরিবর্তে আইএস সব সময়ই প্রথাটিকে দম্ভ সহকারে প্রচার করেছে এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগঠনটি তাদের ‘খেলাফত রাষ্ট্রে’ একটি আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে বলেও সাম্প্রতিক দলিলপত্রে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যেভাবে বিক্রি করা হয় যৌনদাসীদের
চলতি বছরের এপ্রিলে আইএসের যৌন দাসত্বের কারাগার থেকে পালিয়ে আসার পর ২০ জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ (এইচআরডব্লিও)। তারা এইচআরডব্লিওকে জানায়, কিভাবে আইএসের সদস্যরা তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করতো।
প্রথমে বন্দি মেয়েদের ছেলেদের থেকে আলাদা করে ফেলা হতো। এরপর ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে তাদের প্রদর্শন করা হতো। তারপর তাদের হয় বিক্রি করে দেয়া হতো অথবা উপহার হিসেবে প্রদান করা হতো বিভিন্ন আইএস সদস্যদের।