খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: বিপিএলের দ্বিতীয় দিনেই ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনাটা। সিলেট সুপারস্টারসের মালিক আজিজুল ইসলামের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবালের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছিল ওই সময়ই। তদন্ত শেষে বিসিবি পরিচালক ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান শেখ সোহেল আজ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় শাস্তি পাবেন দুজনই।
ম্যাচে টসের পর ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট দলের খেলোয়াড় তালিকার বাইরেও দুজন বিদেশি খেলোয়াড় দেখে আপত্তি জানিয়েছিলেন তামিম। জটিলতার নিরসন না হওয়া পর্যন্ত তামিম সতীর্থদের সঙ্গে অপেক্ষা করতে থাকেন ড্রেসিংরুমের সামনে রাখা চেয়ারে। এ সময়ই চিটাগং অধিনায়কের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় সিলেটের মালিকের। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছিলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি খেলতে। বাবা-মায়ের নামে গালি শুনতে আসিনি। তিনি আমার পরিবারকে টেনে বাজে মন্তব্য করলেন। যা খুবই অপমানজনক।’
প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি দুজনের অপরাধ খুঁজে পেয়েছে। শেখ সোহেল বললেন, এ কারণে শাস্তি থেকে বাদ যাচ্ছেন না তামিমও, ‘সবার সঙ্গে কথা বলার দুই পক্ষকেই শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শাস্তিটা হবে আর্থিক জরিমানা। এটা দেওয়া হতে পারে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরই।’
দুজনের শাস্তির ব্যাখ্যা দিলেন বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান। শেখ সোহেল বললেন, ‘শুধু সিলেটের মালিক ও তামিমের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলেছি আরও অনেকের সঙ্গে। সবার সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, দুজনেরই দোষ। তামিম জাতীয় দলের খেলোয়াড়, বিপিএলের আইকন খেলোয়াড় ছিল। তাকে আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সে ওই সময় মাঠে ছিল। মনে করি, মাঠে থেকে এ ধরনের ব্যবহার তার করা উচিত হয়নি। আবার একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়ের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না। তিনি মাঠে ঢুকলেন কীভাবে? এ কারণে তিনিও শাস্তি পাবেন।’
তবে দুজনের শাস্তির মাত্রা এক হবে না। শাস্তির ভাগটা সিলেটের মালিকের বেশি হবে বলে জানালেন সোহেল, ‘সিলেটের মালিক বেশি শাস্তি পাবেন। কারণ, নিয়ম ভেঙে তিনি মাঠে ঢুকে প্রথম এটা শুরু করেছিলেন। তিনি মাঠে না ঢুকলে এ জিনিসটা হতো না।