খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬: ভারত বিশ্বকে সাম্প্রদায়িকতা নয়, কেবল আধ্যাত্মিকতার বার্তা দেয়। রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জৈন সন্যাসী আচার্য রতœসুন্দরসুরিজি মহারাজের ৩০০ তম বইয়ের প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের বুঝতে পারেনি। ভারত এমন একটা দেশ, যে সাম্প্রদায়িক প্রবণতা অনুসরণ করে না।
ভারত কখনও সাম্প্রদায়িকতা দেয় না, বরং বিশ্বকে আধ্যাত্মিকতা দেয়। সাম্প্রদায়িক-প্রবণ না হলেও ভারতে মাঝে-মধ্যে যে সাম্প্রদায়িকতা, অসহিষ্ণুতার ঘটনা ঘটে, সেকথা স্বীকার করে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মাঝে-মাঝে সাম্প্রদায়িকতা সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান ঘটে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আধ্যাত্মিকতাই ভারতের মূল সম্পদ এবং এই আধ্যাত্মিকতাই মানুষের মধ্যে মানবিকতা নিয়ে আসবে, যার মাধ্যমে বর্তমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে ভারতবাসী। তাই নরেন্দ্র মোদির মতে, সন্যাসীরা কেবল আধ্যাত্মিক নেতা নন, তাঁরা সমাজ-সংস্কারকও বটে। তাই এদিন আচার্য মহারাজের বই উদ্বোধন করে, তাঁর সংস্পর্শ পেয়ে অনেকটাই উৎফুল্ল ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন যেন রাজনৈতিক নরেন্দ্র মোদির আড়ালে ‘আধ্যাত্মিক’ নরেন্দ্র মোদির রূপই প্রকাশ পায়। তাই ৩০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে নিঃসঙ্কোচে তিনি বলে ওঠেন, আমি আপনার থেকে দূরে থাকতে পারি, কিন্তু আপনার হৃদয়ের অনেক কাছে এবং আচার্যর পবিত্র পায়ের নীচে রয়েছি। আধ্যাত্মিক মোদির দাবি, সন্যাসীদের স্পর্শে মানুষের মনে মানবিকতার প্রকাশ পায় এবং মন গঙ্গার মত পবিত্র হয়ে যায় বলেও তিনি অনুভব করেছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী আচার্য মহারাজের যে বইয়ের উদ্বোধন করেন, তার নাম ‘মাই ইন্ডিয়া, নোবেল ইন্ডিয়া’। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইংরাজি, হিন্দি, গুজরাটি এবং মারাঠি–চারটি ভাষাতেই এই বইটি প্রকাশিত হল।